Lakhimpur Violence: দলেও অন্দরেও বাড়ছে চাপ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অজয় মিশ্রের সাক্ষাৎ বাড়াল জল্পনা
Ajay Mishra Meets Amit Shah: ইস্তফা দেওয়ার জন্য দলের তরফে কোনও চাপ দেওয়া হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি কেন ইস্তফা দেব? আমার উপর এইরকমের কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি।"
নয়া দিল্লি: লখিমপুরে কৃষক মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের মাঝেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র (Ajay Kumar Mishra)। লখিমপুরে (Lakhimpur) যে এসইউভি গাড়ি দিয়ে কৃষকদের চাপা দেওয়া হয়, সেই গাড়িতে তাঁর ছেলের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই বিরোধী দলগুলি অজয় কুমার মিশ্রের ইস্তফার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এরই মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ সেই জল্পনাই আরও বাড়িয়ে দিল।
এই বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বিশেষ কিছু জানা না গেলেও গতকালই অজয় মিশ্র জানিয়েছিলেন, তাঁকে দলের তরফে সমন পাঠানো হয়নি বা ইস্তফা দিতেও বলা হয়নি। দিল্লিতে তাঁর বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে, তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
Delhi: Union Ministers Ajay Mishra Teni and Nityanand Rai arrive in North Block pic.twitter.com/YUWxwDK5eV
— ANI (@ANI) October 6, 2021
ইস্তফা দেওয়ার জন্য দলের তরফে কোনও চাপ দেওয়া হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি কেন ইস্তফা দেব? আমার উপর এইরকমের কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। গোটা বিষয়ের তদন্ত করা হবে এবং যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও চক্রান্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করব আমরা।”
রবিবার উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur kheri)একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্যের। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে কৃষকরা আন্দোলন দেখায় এবং সেখান থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষে ৪ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও দাবি করা হয়, তাদের ৩ কর্মী ও গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, ওই গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না তাঁর ছেলে। মঙ্গলবারও তিনি জানান, এসইউভি গাড়িটি তাঁদের হলেও ওই গাড়িতে তাঁর ছেলে উপস্থিত ছিল না। তিনি বলেন, “আমি প্রথমদিন থেকেই বলে আসছি যে, মহিন্দ্রা থর গাড়িটি আমাদের, সেটির রেজিস্ট্রেশনও আমাদের নামেই রয়েছে। ওই গাড়িতে করেই প্রথমে দলীয় কর্মী ও পরে এক অতিথিকে আনতে যাওয়ার কথা ছিল। আমার ছেলে অন্য জায়গায় ছিল, সকাল ১১টা থেকে বিকেল অবধি ও সেখানেই ছিল। আমার ছেলে যে ওখানে ছিল, তা ueজার জন দেখেছেন, ছবি ও ভিডিয়োও রয়েছে। আপনারা চাইলে কল রেকর্ড, ওর ফোনের লোকেশনও দেখতে পারেন। হাজার হাজার মানুষ সাক্ষী দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”
গাড়িটি সম্পর্কে অজয় মিশ্র বলেন, “আমায় জানানো হয়েছে যে চালকের মৃত্যু হয়েছে, দুই কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছিলেন এক কর্মী। তিনজনকে আহত অবস্থাতেও উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পরই আন্দোলনকারীরা আরেকটি ফরচুনার গাড়ি সহ মোট দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরা কখনওই কৃষক হতে পারে না। কৃষকদের মাঝেই দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে ছিল।”
উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে মন্ত্রীপুত্র আশীষ মিশ্রের নামে খুন ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করলেও এখনও অবধি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Lakhimpur: আটকানো হবে না রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে, সিদ্ধান্ত বদলে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি পেল সমস্ত দলই