Lakhimpur: আটকানো হবে না রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে, সিদ্ধান্ত বদলে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি পেল সমস্ত দলই

Lakhimpur Violence: কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী একসঙ্গে প্রথমে চোরাহায় যাবেন। সেখানে লভপ্রীত সিং (১৯)-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মৃত অপর কৃষক রমন কাশ্যপের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।

Lakhimpur: আটকানো হবে না রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে, সিদ্ধান্ত বদলে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি পেল সমস্ত দলই
বিমানে লখনউ যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 2:23 PM

লখনউ: অবশেষে মিলল অনুমতি। লখিমপুরে যেতে পারবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সঙ্গে যাবেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং পঞ্জাব ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ টালবাহানার পর উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে বুধবার দুপুরে জানানো হল, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সর্বাধিক ৫ জন প্রতিনিধিকে লখিমপুরে যেতে দেওয়া হবে।

রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গাড়ি চাপা পড়ে ৪ আন্দোলনকারী কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার পরই উত্তাল রাজনৈতিক মহল। রবিবারই কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী লখিমপুরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কিন্তু রবিবার রাতেই লখনউয়ে গৃহবন্দি করা হয় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে, পরে তিনি সেই নির্দেশ ভেঙে লখিমপুরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করে পুলিশ।

এরপর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি থেকে শুরু করে ছত্তীসগঢের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, সকলকেই উত্তর প্রদেশে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। গতকাল রাহুল গান্ধীর সফর নিয়েও অনুমতি চাওয়া হলে যোগী সরকারের তরফে ১৪৪ ধারা জারির কথা জানিয়ে সেই আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়।

এ দিন সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী জানান, তাদের অনুমতি না দেওয়া হলেও লখিমপুর যাবেনই। ১৪৪ ধারায় ৫ জনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই আমরা ৩ জন লখনউ যাব এবং সেখান থেকে লখিমপুর গিয়ে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব।

প্রথমে দিল্লি বিমানবন্দরেই রাহুলকে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা করা হলেও বিনা বাধাতেই তিনি, ভূপেশ বাঘেল ও চরণজিৎ সিং চন্নি লখনউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিমান যখন মাঝ আকাশে, তখন জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আজই ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পরই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী একসঙ্গে প্রথমে চোরাহায় যাবেন। সেখানে লভপ্রীত সিং (১৯)-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মৃত অপর কৃষক রমন কাশ্যপের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর নিধাসন থেকে নানপারার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তারা।

অপর কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটকেও লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালেই তিনি সড়কপথে উত্তর প্রদেশের উদ্দেশ্য়ে রওনা দিলেও তাঁকে গাজিপুর সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশ সরকারের অনুমতি মেলার পর তাঁকেও যেতে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বিধায়ক রাঘব চাড্ডার নেতৃত্বে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির একটি দলকেও লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল বিকেলে তাদের লখিমপুর খেরি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আটকে দেওয়া হয়।