AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Father killed daughter: ‘বুকে জোরে জড়িয়ে ধরে মেরেছি’, পাওনাদারদের হেনস্থার ভয়ে আড়াই বছরের মেয়েকে ‘খুন’ বাবার

Father killed daughter: গাড়িতে চাপিয়ে বেঙ্গালুরুর বাইরে মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে নিয়েছিলেন কিছু বিস্কুট আর চকোলেট। কিন্তু মেয়ে কাঁদতে শুরু করে মাঝপথে। তখন তাঁর পকেটে কোনও টাকা ছিল না।

Father killed daughter: 'বুকে জোরে জড়িয়ে ধরে মেরেছি', পাওনাদারদের হেনস্থার ভয়ে আড়াই বছরের মেয়েকে 'খুন' বাবার
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 4:08 PM
Share

বেঙ্গালুরু: মেয়ের খিদেতে কাঁদছিল, কিন্তু তাকে খাবার কিনে দেওয়ার মতো টাকা ছিল না বাবার কাছে। তাই মেয়েকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশি জেরায় মেয়েকে হত্যা করার কথা নিজেই স্বীকার করেছে তিনি। দিন কয়েক আগে তাঁর মেয়ের দেহ উদ্ধার হয় একটি জলাশয় থেকে। তার বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না প্রথমে। পরে মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রাহুল পারমার নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে। এরপর পুলিশ জেরা শুরু করে ভেঙে পড়েন তিনি। আড়াই বছরের মেয়েকে কীভাবে তিনি নিজে হাতে খুন করলেন, তা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছে তাঁর পরিবারও।

সম্প্রতি ঘটনার পুনর্নির্মান করেছে পুলিশ। তাই অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ক্রমশ তাঁর ঘাড়ে ঋণের বোঝা বাড়ছিল। গুজরাটের বাসিন্দা রাহুল থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়, তার ওপর ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা ঢেলে অনেক ক্ষতি হয় তাঁর। তার ওপর তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো চুরি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করার অভিযোগ ওঠে। এত মানসিক চাপ নিতে পারেননি তিনি। প্রতিনিয়ত পাওনাদারদের আতঙ্কে ভুগতেন তিনি।

গত ১৫ নভেম্বর মেয়ে জিয়াকে স্কুলে দিতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রাহুল। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। পরের দিন সকালে একটি জলাশয় থেকে ছোট্ট জিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের সন্দেহ ছিল রাহুলও আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু পরে রাহুলের খোঁজ পায় পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, তিনিও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সফল হননি।

জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গাড়িতে চাপিয়ে বেঙ্গালুরুর বাইরে মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে নিয়েছিলেন কিছু বিস্কুট আর চকোলেট। কিন্তু মেয়ে কাঁদতে শুরু করে মাঝপথে। তখন তাঁর পকেটে কোনও টাকা ছিল না। বাড়ি ফিরে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কায় মেয়েকে আলিঙ্গন করে খুন করেন তিনি। অভিযুক্তের দাবি, পাওনাদারদের ভয়ে তিনি নিজেও আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। মেয়ের দেহ জড়িয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন জলাশয়ে, কিন্তু ডুবতে পারেননি। ফলে বেঁচে যান তিনি। মেয়েকে খুন ও জলাশয়ে দেহ লোপাট করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।