রাস্তাতেই চলছে RTPCR পরীক্ষা, পজিটিভকে নেগেটিভ করার প্রতিশ্রুতি, তমলুকে ক্যামেরা দেখা চম্পট ল্যাবকর্মী

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Feb 03, 2022 | 10:26 PM

RTPCR Test On The Road: সংবাদকর্মীরা চেপে ধরতেই অভিযুক্তরা বাইক, পরীক্ষার নমুনা এবং টেস্ট কিট রাস্তাতে ফেলেই চম্পট দেয়। পুলিশ এসে ফেলে যাওয়া বাইকটি আটক করে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক এবং সুপারকে জানানো হলে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।

Follow Us

তমলুক: করোনা পরীক্ষা নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি ধরা পড়ল তমলুকে। সারা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যে এখন কমেনি করোনা ভাইরাসের প্রভাব। তবে কোভিড মহামারীকে ঘিরে অসাধু চক্র রমরমিয়ে বেড়েই চলেছে। যার ফলে প্রতিদিন বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। করোনার RTPCR টেস্টের নাম করে রাস্তাতেই হচ্ছে পরীক্ষা, চলছে নমুনা সংগ্রহ। পরীক্ষার ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা। এমনই ছবি দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে পরীক্ষার ফি হিসেবে ১২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে তেমনটা নয়, বরং লোক বুঝে কখনও কখনও নেওয়া হচ্ছে তারও বেশি। এমনই স্বীকারোক্তি ধরা পড়ল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। আর ক্যামেরা দেখেই বাইক, টেস্ট কিট রাস্তাতে ফেলেই চম্পট দিল অভিযুক্ত।

জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের মেট্রোপলিস নামে একটি সংস্থার কলকাতায় একটি ব্রাঞ্চ রয়েছে। সেই ব্রাঞ্চের অধীনেই বেশ কিছু এজেন্ট জেলায় জেলায় করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের কাজ করে থাকেন। সেই এজেন্টরাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে হাতেনাতে ধরা পড়েছে এই চক্রের মূল পান্ডা। তথ্য অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই সংস্থার তিনজন নমুনা সংগ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যেই একজনকে কোভিড পরীক্ষা করার ছুতোয় ডাকা হয়। এমনকী যাতে কোনও সন্দেহ না হয় সে কারণে সংবাদ কর্মীর নমুনাও পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। এই স্টিং অপারেশনের সময় এক অভিযুক্ত প্রতিশ্রুতিও দেন যে তিনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ করিয়ে দেবে। এরপরই সংবাদ মাধ্যমেক ক্যামেরা দেখে সব কিছুই অস্বীকার করতে শুরু করেন ওই এজেন্টরা।

সংবাদকর্মীরা চেপে ধরতেই অভিযুক্তরা বাইক, পরীক্ষার নমুনা এবং টেস্ট কিট রাস্তাতে ফেলেই চম্পট দেয়। পুলিশ এসে ফেলে যাওয়া বাইকটি আটক করে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক এবং সুপারকে জানানো হলে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে জেলার স্বাস্থ অধিকর্তা বিভাস রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কে এসব বলেছে! আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ নেই, কেউ যদি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন তাহলে আমরা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’ অন্যদিকে আই.এম.এ-র তমলুক জেলার সম্পাদক কল্যাণময় বসু বলেন, ‘জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে এটা প্রথম শুনলাম। সমাজে যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা খুবই নিন্দনীয় এবং ধীক্কারজনক ব্যাপার। আরটিপিসিআর টেস্ট নিয়ে যদি কেউ ব্যবসা করে বা পজিটিভকে নেগেটিভ করে দেয় তাহলে তা দুর্নীতির চরমসীমা হবে। এটা আটকাতে প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন নির্বিকার কেন তা দেখতে হবে। সংবাদসংস্থা এটা ধরে আমাদের সামনে এনেছে তাদের ধন্যবাদ। তবে এই ধরণে ঘটনা চলতে দেওয়া যাবে না। সমস্ত চিকিৎসক এবং গণসংগঠনের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

দেখুন বাঙালিয়ানা:

** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী

** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার

তমলুক: করোনা পরীক্ষা নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি ধরা পড়ল তমলুকে। সারা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যে এখন কমেনি করোনা ভাইরাসের প্রভাব। তবে কোভিড মহামারীকে ঘিরে অসাধু চক্র রমরমিয়ে বেড়েই চলেছে। যার ফলে প্রতিদিন বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। করোনার RTPCR টেস্টের নাম করে রাস্তাতেই হচ্ছে পরীক্ষা, চলছে নমুনা সংগ্রহ। পরীক্ষার ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা। এমনই ছবি দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে পরীক্ষার ফি হিসেবে ১২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে তেমনটা নয়, বরং লোক বুঝে কখনও কখনও নেওয়া হচ্ছে তারও বেশি। এমনই স্বীকারোক্তি ধরা পড়ল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। আর ক্যামেরা দেখেই বাইক, টেস্ট কিট রাস্তাতে ফেলেই চম্পট দিল অভিযুক্ত।

জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের মেট্রোপলিস নামে একটি সংস্থার কলকাতায় একটি ব্রাঞ্চ রয়েছে। সেই ব্রাঞ্চের অধীনেই বেশ কিছু এজেন্ট জেলায় জেলায় করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের কাজ করে থাকেন। সেই এজেন্টরাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে হাতেনাতে ধরা পড়েছে এই চক্রের মূল পান্ডা। তথ্য অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই সংস্থার তিনজন নমুনা সংগ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যেই একজনকে কোভিড পরীক্ষা করার ছুতোয় ডাকা হয়। এমনকী যাতে কোনও সন্দেহ না হয় সে কারণে সংবাদ কর্মীর নমুনাও পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। এই স্টিং অপারেশনের সময় এক অভিযুক্ত প্রতিশ্রুতিও দেন যে তিনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ করিয়ে দেবে। এরপরই সংবাদ মাধ্যমেক ক্যামেরা দেখে সব কিছুই অস্বীকার করতে শুরু করেন ওই এজেন্টরা।

সংবাদকর্মীরা চেপে ধরতেই অভিযুক্তরা বাইক, পরীক্ষার নমুনা এবং টেস্ট কিট রাস্তাতে ফেলেই চম্পট দেয়। পুলিশ এসে ফেলে যাওয়া বাইকটি আটক করে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক এবং সুপারকে জানানো হলে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে জেলার স্বাস্থ অধিকর্তা বিভাস রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কে এসব বলেছে! আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ নেই, কেউ যদি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন তাহলে আমরা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’ অন্যদিকে আই.এম.এ-র তমলুক জেলার সম্পাদক কল্যাণময় বসু বলেন, ‘জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে এটা প্রথম শুনলাম। সমাজে যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা খুবই নিন্দনীয় এবং ধীক্কারজনক ব্যাপার। আরটিপিসিআর টেস্ট নিয়ে যদি কেউ ব্যবসা করে বা পজিটিভকে নেগেটিভ করে দেয় তাহলে তা দুর্নীতির চরমসীমা হবে। এটা আটকাতে প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন নির্বিকার কেন তা দেখতে হবে। সংবাদসংস্থা এটা ধরে আমাদের সামনে এনেছে তাদের ধন্যবাদ। তবে এই ধরণে ঘটনা চলতে দেওয়া যাবে না। সমস্ত চিকিৎসক এবং গণসংগঠনের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

দেখুন বাঙালিয়ানা:

** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী

** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার

Next Article