AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Irregular Menstruation: অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি চাইলে ভরসা রাখুন এই সব সুপারফুডে

Foods for Regular Periods: অনিয়মিত মাসিক নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা ওষুধ দেওয়া হয়। তবে ওষুধ খেতে না চাইলে খাদ্যাভ্যাসে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর কিছু খাবার যুক্ত করলেও স্বাভাবিকভাবে চক্র নিয়মিত রাখা সম্ভব। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুপারফুড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে, প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং মাসিকের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। রইল সেই সব সুপারফুডের হদিশ।

Irregular Menstruation: অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি চাইলে ভরসা রাখুন এই সব সুপারফুডে
| Updated on: Sep 19, 2025 | 5:02 PM
Share

অনেক মহিলাই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভোগেন, যা মানসিক চাপ, অস্বস্তি এবং কখনও কখনও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে। মাঝে মাঝে দু-একদিন এদিক ওদিক হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও, বারবার অনিয়মিত মাসিক চক্র প্রজনন ক্ষমতা, মানসিক অবস্থা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

অনিয়মিত মাসিক নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা ওষুধ দেওয়া হয়। তবে ওষুধ খেতে না চাইলে খাদ্যাভ্যাসে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর কিছু খাবার যুক্ত করলেও স্বাভাবিকভাবে চক্র নিয়মিত রাখা সম্ভব। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুপারফুড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে, প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং মাসিকের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। রইল সেই সব সুপারফুডের হদিশ।

১। ফ্ল্যাক্স সিড (তিসি বীজ) – লিগন্যানস ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্স সিড শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডিম্বস্ফোটন বা ওভুলেশনের ধরণও উন্নত করে, ফলে মাসিক চক্র আরও নিয়মিত হয়।

২। তিল – জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর তিল হরমোন উৎপাদনে সহায়ক এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা নিয়মিত মাসিকের জন্য জরুরি।

৪। বেরি ফল (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাসবেরি) – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এসব ফল ডিম্বাশয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হরমোন ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫। শাকসবজি (পালং শাক, কেল, মেথি পাতা) – এগুলোতে আছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফলেট, যা অনিয়মিত রক্তক্ষরণ থেকে সৃষ্ট অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে এবং পিএমএসের উপসর্গ হ্রাস করে।

৬। পেঁপে – পেঁপেতে থাকা ক্যারোটিন ইস্ট্রোজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং মাসিক প্রবাহকে স্বাভাবিক করে। বিলম্বিত বা অনিয়মিত মাসিকের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।

৭। কাঠবাদাম-আখরোট – ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম ও ওমেগা-৩-এ সমৃদ্ধ বাদাম প্রজনন হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মাসিকের ব্যথাজনিত প্রদাহ কমায়।

৮। চিয়া সিড – উচ্চমাত্রার ফাইবার ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ চিয়া সিড রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। এর ফলে হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে এবং সুস্থ মাসিক চক্রকে সমর্থন করে।

৯। হলুদ – এর প্রদাহনাশক গুণের জন্য পরিচিত হলুদ লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এতে ইস্ট্রোজেনের স্বাস্থ্যকর বিপাক ও হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে।