Bizzare: দারুণ খবর! আপনি কি ডিভোর্সী? এই বাজারে গেলেই পাবেন ‘নতুন’ বর
Bizzare: বাজারে এসে দোকান দেন বিবাহ-বিচ্ছিন্না মহিলারা। আর সেখানেই তাঁদেরকে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে ছুটে আসেন দুরদুরান্ত থেকে পুরুষেরা।
উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মৌরিতানিয়া। এ দেশের ৯০ শতাংশ এলাকাই সাহারা মরুভূমির অংশ। জনসংখ্যা খুবই কম। মাত্র ৪৫ লক্ষ মতো। অথচ সেখানেই রয়েছে এক আজব রীতি। এখানে বাজারে এসে দোকান দেন বিবাহ-বিচ্ছিন্না মহিলারা। আর সেখানেই তাঁদেরকে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে ছুটে আসেন দুরদুরান্ত থেকে পুরুষেরা।
আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মৌরিতানিয়া এক সময় ছিল ফরাসিদের উপনিবেশ। ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এই দেশ। সেই অর্থে এখনও তৃতীয় বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশের দলেই পরে মৌরিতানিয়া। আর সেখানেই আছে এক আজব রীতি। এখানে কুমারিদের থেকেও বিয়ের বাজারে বেশি কদর বিবাহ-বিচ্ছিন্না মহিলাদের।
এখনও সমগ্র বিশ্বে বহু জায়গায় দুর্বল বলে মনে করা হয় মহিলাদের। এমনকি বিয়ে ভাঙার পরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের দায়ী করা হয়। কিন্তু মৌরিতানিয়ায় তেমনটা হয় না।
স্বামীর সঙ্গে কোনও মহিলার বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তাঁরা এক বাজারে গিয়ে দোকান খোলেন। যেখানে তাঁরা বিয়ের সময় পাওয়া নানা আসবাব পত্র বা উপহার বিক্রি করেন। এই বাজার ‘তালাক শুদ্ধ মহিলাদের বাজার’ নামে খ্যাত। আসলে ডিভোর্স হয়ে গেলে তারপর মহিলাদের নিজেকেই সংসার এবং সন্তানের ভার সামলাতে হয়। তবে এই বাজারেই বহু দূর থেকে ছুটে ছুটে আসেন পুরুষ ক্রেতারাও। সেখানে জিনিসপত্র কেনার সঙ্গে সঙ্গে কোনও মহিলাকে পছন্দ হলে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন পুরুষরা। তারপর যদি দুই পক্ষের একে অপরকে মনে ধরে তখন বিবাহ সম্পন্ন হয়।
কিন্তু কেন বিবাহ-বিচ্ছিন্না মহিলাদের এত কদর মৌরিতানিয়ায়?
এ দেশে বিবাহ-বিচ্ছেদ হওয়ার পরে মহিলাদের অনেক বেশি সম্মানের চোখে দেখা হয়। মনে করা হয়, বিবাহ-বিচ্ছিন্না মহিলারা সাংসারিক দিক থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং চতুর হয়। তাঁদের বাস্তবিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি হয়। আর পুরুষরা জীবনসঙ্গিনী হিসাবে এমন মহিলাকেই বেশি পছন্দ করে।