Korean Skin Care: আপনার হেঁশেলে আছে যাবতীয় কোরিয়ান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট! জানুন ব্যবহারটা
Home Remedies for Skin Care: কোরিয়ান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের বিশেষত্ব প্রাকৃতিক উপাদান। যাতে থাকে ত্বক-উপকারী একাধিক গুণ। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই সব উপাদানের কোনও কিছুই কিন্তু এমন নয় যে কোরিয়া ছাড়া আর কোথাও তা উপলব্ধ নয়। বরং সেই সব উপাদান রয়েছে আপনার হাতের কাছে, আপনার বাড়িতে। যার রহস্য জানা থাকলে বাড়িতেই হয়ে যাবে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার, তাও নামমাত্র খরচে।

কোরিয়ান স্কিনকেয়ার নিয়ে আজ সারা বিশ্বজুড়ে চলছে মাতামাতি। মহিলা মহলে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে একের পর এক কোরিয়ান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট এবং স্কিন কেয়ার পদ্ধতি। কিন্তু আপনি কি জানেন কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের আসল রহস্যটা কী? আসলে কোরিয়ানরা কেমিক্যাল যুক্ত পদার্থ ত্বকে ব্যবহারের বদলে প্রাকৃতিক উপাদানে বেশি ভরসা রাখেন। তাই তাঁদের ত্বক এত উজ্জ্বল। কোরিয়ান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের বিশেষত্ব প্রাকৃতিক উপাদান। যাতে থাকে ত্বক-উপকারী একাধিক গুণ। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই সব উপাদানের কোনও কিছুই কিন্তু এমন নয় যে কোরিয়া ছাড়া আর কোথাও তা উপলব্ধ নয়। বরং সেই সব উপাদান রয়েছে আপনার হাতের কাছে, আপনার বাড়িতে। যার রহস্য জানা থাকলে বাড়িতেই হয়ে যাবে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার, তাও নামমাত্র খরচে। ব্যাপারটা আরেকটি খোলসা করে বলা যাক!
১. গ্লোয়িং স্কিনের জন্য গ্রিন টি – গ্রিন টি কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের প্রধান উপাদান। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি-র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। গ্রিন টি ব্যাগ ফোটানো জলে ডুবিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে ফেস কম্প্রেস হিসেবে ব্যবহার করলে লালচে ভাব কমে যায় এবং ত্বক সতেজ হয়।
২. চালের জল – কোরিয়ায় বহুদিন ধরেই উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখতে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করা হয়। ভিজিয়ে রাখা বা ধোয়ার পর চালের যে জল ফেলে দেওয়া হয়, তাতে থাকে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। মুখে স্প্রে বা ছিটিয়ে নিলে ত্বকের টেক্সচার উন্নত হয় ও প্রাকৃতিক রেডিয়েন্স আসে।
৩. মধু – মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং নরম করে তোলে, কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক হিউমেকট্যান্ট। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা মধু সরাসরি মাস্ক হিসেবে লাগালে ত্বকে তাত্ক্ষণিক আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা আসে।
৪. অ্যালোভেরা – কোরিয়ান সুজিং জেল-এ অ্যালোভেরা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি সানবার্ন বা ত্বকের জ্বালা প্রশমনে দারুণ কার্যকর। সরাসরি গাছ থেকে পাওয়া তাজা অ্যালোভেরা জেল ত্বক গভীরভাবে হাইড্রেট করে, ঠান্ডা রাখে এবং ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে। সংবেদনশীল বা শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি আদর্শ।
৫. শসা – শসা তার শীতল ও হাইড্রেটিং গুণের জন্য পরিচিত। কোরিয়ান স্কিনকেয়ারে এটি ত্বককে সতেজ ও ফোলা কমাতে ব্যবহার করা হয়। শসার স্লাইস বা রস ব্যবহার করলে চোখের নিচের ক্লান্ত ভাব কমে যায় এবং ত্বক জলের জোগান পায়।
