AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Skin Care: ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেস প্যাক ত্বকের বারোটা বাজায়! মার্কেটের ব্রাইটেনিং প্যাক নিয়ে এই তথ্য জানেন?

ত্বকের প্রাকৃতিক রং বদলানো সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুম আর সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক হবে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর। ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেসের চকচকে প্রতিশ্রুতি অনেক সময়ই মিথ্যে হয়।

Skin Care: ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেস প্যাক ত্বকের বারোটা বাজায়! মার্কেটের ব্রাইটেনিং প্যাক নিয়ে এই তথ্য জানেন?
ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেস প্যাক ত্বকের বারোটা বাজায়! আসল সত্যিটা জানেন?Image Credit: seksan Mongkhonkhamsao/Moment/Getty Images
| Updated on: Sep 25, 2025 | 8:47 PM
Share

টেলিভিশন থেকে শুরু করে মুঠোফোন সর্বত্রই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, মাত্র কয়েক মিনিটে গায়ের রং ফর্সা করে দেবে স্কিন ব্রাইটেনিং বা ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেস প্যাক। উৎসব, পার্টি বা বিশেষ দিনে অনেকেই এমন প্যাক কিনে ফেলেন। তা হাসিমুখে ব্যবহারও করেন। কিন্তু জানেন কি, এই ধরনের প্রসাধনী সবসময় নিরাপদ নয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ফেয়ারনেস’ নামের চকচকে প্রতিশ্রুতির আড়ালে লুকিয়ে আছে ত্বকের গভীর ক্ষতির সম্ভাবনা।

এর ভেতরে কী থাকে?

এই ধরনের প্যাকের ভেতরে অনেক সময়ই যেগুলো থাকে তা হল — হাইড্রোকুইনন, পারদ, স্টেরয়েড, ব্লিচিং এজেন্ট। এই সকল উপাদান মেলানিন কমিয়ে ত্বককে সাময়িক ফর্সা দেখাতে সাহায্য করে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এগুলো মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

এর ফলে কী কী ঝুঁকি হয়?

ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে। যার ফলে ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ইউভি রশ্মির ক্ষতি বহুগুণ বাড়ে। অ্যালার্জি বা র‍্যাশ হতে পারে। অর্থাৎ হঠাৎ লালচে দাগ, ফুসকুড়ি বা চুলকানি দেখা দেয়। দীর্ঘস্থায়ী দাগ ও পিগমেন্টেশনের সম্ভবনা রয়েছে। যখনই এগুলো ব্যবহার বন্ধ করা হয়, কালো ছোপ বা দাগ তৈরি হয়। পারদ বা স্টেরয়েড দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেস প্যাক বা স্কিন ব্রাইটেনিং প্যাক না লাগিয়ে কিছু ঘরোয়া উপায়েও ত্বক উজ্জ্বল করা যায়। যেমন – হলুদ, মধু, দই, অ্যালোভেরা বা লেবুর রস দিয়ে বানানো প্যাক ত্বকের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ। এ ছাড়া সঠিক ট্রিটমেন্টের সাহায্যও নিতে পারেন যে কেউ। ভিটামিন সি সিরাম, কেমিক্যাল পিল বা লেজার— এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ে করলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ঝুঁকিও কম।

ত্বকের প্রাকৃতিক রং বদলানো সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুম আর সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক হবে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর। ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেসের চকচকে প্রতিশ্রুতি অনেক সময়ই মিথ্যে হয়। বরং ক্ষণিকের ফর্সা ভাবের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিটাই ডেকে আনে। তাই ত্বকের প্রকৃত যত্নে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপায় ও সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শে।