Waxing: ওয়াক্সিংয়ে আতঙ্ক! এভাবে হাতের লোম বা আন্ডারআর্মস পরিষ্কার করলে লাগবে না এক ফোঁটাও ব্যথা-যন্ত্রণা
Beauty Tips: অনেকেই টিপস হিসেবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে ওয়াক্সিংয়ের সময় বেজায় ব্যথা পাওয়া যায়। আর সেই ব্যথা অত্যন্ত অসহ্যকর হয়ে থাকে। সেই শুনে পিছিয়ে পড়েন।

ত্বককে আরও সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তুলে হাতের বা পায়ের লোম কিংবা আন্ডারআর্মসের লোম পরিষ্কার করেন অনেকেই। মধু বা ওয়্যাক্সের প্রলেপ দিয়ে হাতের বা পায়ের লোম পরিষ্কার করতে গিয়ে ব্যথা-যন্ত্রণাও সহ্য করতে হয়। তবে শেভিংস করার তুলনায় ওয়াক্সিং বেশি কার্যকর। তাতে চুলের গোড়া থেকে নির্মূল করে। তবে ওয়াক্সিং করার ক্ষেত্রে বেশ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। এর কারণে ওয়াক্সিংকে এড়িয়েও চলেন অধিকাংশ। গভীর গোড়া থেকে লোম তুলে ফেলা, নতুন লোমের বৃদ্ধিকে হ্রাস করাতে ওয়াক্সিংয়ের গুরুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, ওয়াক্সিং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দারুণ কাজে লাগে। ত্বকের মৃত ও শুষ্ক ত্বককে সরিয়ে মসৃণ ও নরম করে তোলে। এরফলে বলিরেখা কমে, অকাল বার্ধক্য রোধ হয়।
ওয়াক্সিং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এই পদ্ধতিতে ত্বক পরিষ্কার করতে অনেকেই ভয় পান। অনেকেই প্রথমবার ওয়াক্সিং করার পরিকল্পনা করে থাকলে আগেই ভয় পেয়ে থাকেন। অনেকেই টিপস হিসেবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে ওয়াক্সিংয়ের সময় বেজায় ব্যথা পাওয়া যায়। আর সেই ব্যথা অত্যন্ত অসহ্যকর হয়ে থাকে। সেই শুনে পিছিয়ে পড়েন। তবে প্রথমবার ওয়াক্সিং করার সিদ্ধান্ত নিলেও কোনও আতঙ্ক করার কিছু নেই। এইভাবে ওয়াক্সিং করলে একফোঁটা আপনার ব্যথা লাগবে না।
প্রথমবার ওয়াক্সিং করালে এই টিপসগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন…
ওয়াক্সিং কম ব্যথা-যন্ত্রণা অনুভব করার টিপস
স্নান করুন
উষ্ণ জল ও স্টিম ব্যবহার করলে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে। ওয়াক্সিং করার সময় লোম টেনে তোলা সহজ করে তোলে। গরম জল ত্বকের ছিদ্রপথও খুলে দেয় ও ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে তোলে। ত্বকের মধ্যে ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
এক্সফোলিয়েশন
ওয়াক্সিং এর আগে এক্সফোলিয়েট করা শুষ্ক ত্বককে অপসারণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইনগ্রাউন লোমগুলিকে আলগা করে তোলে। ওয়াক্সিংয়ের পদ্ধতি চলাকালীন সহজেই অপসারণ করতে সুবিধে হয়। এক্সফোলিয়েটিং ত্বকের উপর মৃত কোষের উপরের স্তরকে অপসারণ করতে সাহায্য করে, ওয়াক্সিংয়ের জেরে চুলের সঙ্গে আরও ভালোভাবে লেগে থাকতে দেয়, তাদের অপসারণ করা সহজ করে।
ক্যাফেইন খাবেন না
প্রথমবার নয়, নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে ক্যাফেইন জাতীয় কোনও পানীয় খাবেন না। যদি প্রথমবারের জন্য ওয়াক্সিং করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে ২ ঘণ্টা বিয়ার, অ্যালকোহল, কফি পান করবেন না। ওয়াক্সিং করার পরে ২ ঘণ্টা পর কফি বা অ্যালকোহল পান করতে পারেন। এছাড়া ত্বক ও শরীরকে হাইড্রেট করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
পাউডার
ওয়াক্সিং করার সময় বা ওয়াক্স করার আগে ত্বকে ট্যালকম পাউডারের পাতলা স্তর লাগান। তাতে ত্বককে প্রশমিত করতে ও ওয়াক্সিংয়ের পদ্ধতিকে সহজ করতে সুবিধা হবে। দ্রুত তুলতেও সাহায্য করে। বাডিতে বা পার্লারে যেখানেই করুন না কেন, পাউডার ব্যবহার করা অবশ্যই দরকারষ
ওষুধও সাহায্য করে
ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে আরাম পেতে চাইলে ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন। তাতে ওয়াক্সিং আরও আরামদায়ক করে তুলতে পা ব্যথার ওষুধের মাধ্যমে ওই জায়গাটি অসাড় করে দেয়। তাতে ওয়াক্সিং করলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
পিরিয়ডসের পর ওয়াক্সিং করুন
ওয়াক্সিং করার সময় যাতে মারাত্মক ব্যথা না লাগে তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। পিরিয়ডসের এক সপ্তাহ আগে বা পরে ওয়াক্সিং করুন। ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্সিং এক্ষেত্রের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক হয় বলে মনে করা হয়। কারণ পিরিয়ডের এক সপ্তাহ আগে স্পর্শ করার জন্য সংবেদনশীল। এর কারণ হল, আপনার পিরিয়ডের আগের সপ্তাহে, শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সর্বোচ্চ থাকে, যা ত্বককে বিশেষভাবে সংবেদনশীল করে তোলে। পিরিয়ডের এক সপ্তাহ আগে বা পরে ওয়াক্সিং সেশনের সময় নির্ধারণ করা অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
