Skin Care: সুস্থ আর সতেজ ত্বক পেতে আমাদের প্রতিদিনের এই অভ্যেসগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে…
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন অকাল বার্ধক্যকের লক্ষণগুলিকে প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত সাহায্য করে।
আমরা সবাই মসৃণ আর উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য অনেক কসরত করে থাকি। দামি দামি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, পার্লারে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া এসব তো নিত্যদিনের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের জীবনধারাতে সামান্য কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেই ত্বককে অনেক বেশি টানটান আর সুন্দর রাখা যায়। আমাদের বাজে খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এরকম নানান ধরনের কারণের জন্যই আমাদের ত্বকে অকাল বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে।
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন অকাল বার্ধক্যকের লক্ষণগুলিকে প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত সাহায্য করে। কিছু কিছু খারাপ অভ্যাস, ত্বকে অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলি ফুটিয়ে তোলে। সেগুলি আমরা সবাইই জানি কী, কিন্তু প্রতিদিনের জীবনে সেই সতর্কতা কোথাও যেন হারিয়ে যায়…
১) ধূমপান:
ধূমপান স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর, এটা আমরা সকলেই জানি। এর অন্যতম ক্ষতিকারক প্রভাব হল, অকাল বার্ধক্য। ধূমপানের ফলে ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন প্রোটিনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া এটি ত্বকের স্বাভাবিক বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকেও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। ফলে অকালেই ত্বকে বলিরেখা এবং ফাইন লাইন লক্ষ্য করা যায়।
২) অ্যালকোহল:
অ্যালকোহলের সেবন যে কেবলমাত্র শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায় তা নয়, উপরন্তু এর ফলেই অল্প বয়সেই ত্বকে ফাইন লাইন এবং বলিরেখা প্রকট হয়। অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এবং শরীরে ভিটামিন-এ এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার ফলে অকালে ত্বকের সতেজ ভাবটা হারিয়ে যায়।
৩) স্ট্রেস:
স্ট্রেস স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। স্ট্রেসের কারণে অনিদ্রা, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং অ্যালজেইমারের মতো বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া স্ট্রেস সরাসরি ত্বকের উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। স্ট্রেসের কারণে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। স্ট্রেস শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ত্বকের তন্তু সহ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলের ত্বক নিস্তেজ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
৪) অপর্যাপ্ত ঘুম:
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল, ক্লান্তি, ফাইন লাইন প্রভৃতি বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন লক্ষণগুলি খুব সহজেই ত্বকে প্রকট হতে দেখা যায়। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কেবল বার্ধক্যজনিত লক্ষণই ফুটে ওঠে না, পাশাপাশি ত্বকের সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও ক্রমশ হারিয়ে ফেলে।
৫) শরীরচর্চার অভাব:
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, ফলে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত শরীরচর্চা ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণ গুলিকে প্রতিরোধ করতে প্রভূত সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Winter Skincare: শীতের মরসুমে শুষ্ক ত্বকের পরিচর্চায় যেগুলি একেবারেই করবেন না, তা জেনে রাখা দরকার
আরও পড়ুন: রান্নাঘরে থাকা জায়ফল দিয়ে তৈরি করুন হেয়ার মাস্ক! পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন