Curly Hair: কুঞ্চিত কেশরাশি? সিজন চেঞ্জে যে ভাবে যত্নে রাখবেন…

Summer: গরমে ঘাম বসে চুল চ্যাটচ্যাটে বহয়ে যায়। যে কারণে তা বেশি ঝরে পড়ে। এছাড়াও এই সময় চুলে ধুলো, বালি, ময়লাও কিন্তু অনেক বেশি হয়। তাই নিয়মিত তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং এর মাধ্যমে চুলের যত্ন নিন

Curly Hair: কুঞ্চিত কেশরাশি? সিজন চেঞ্জে যে ভাবে যত্নে রাখবেন...
যে ভাবে নেবেন কোঁকড়া চুলের যত্ন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2022 | 9:06 PM

ঋতু পরিবর্তনের (Season Change) সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একাধিক সমস্যা দেখা যায়। এই সময় যেমন ত্বক শুকিয়ে (Dry Skin) যায় তেমনই কিন্তু চুলও শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকী এই সময় বেশি পরিমাণে চুলও ঝরে যায়। তবে যাঁদের কোঁকড়ানো চুল (Curly Hair) তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যা আরও বেশি হয়। কারণ বাইরের তাপমাত্রার পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের চুলে। এই সময় ঘাম বেশি হয়। চুল কোঁকড়া হলে ঘাম বেশি বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর সেখান থেকেও কিন্তু আসে একাধিক সমস্যা। চুল বেশি চিটচিট করে। যাঁদের চুল কোঁকড়া তাঁদের চুলের প্রকৃতিও কিন্তু তুলনায় অনেক শক্ত। এছাড়াও চুলের কিউটিকল সুগঠিত হয় না। যে কারণে চুল বেশি ভেঙে যাওয়ার মত সমস্যা হয়। আর তাই যাঁদের কোঁকড়ানো চুল তাঁদের কিন্তু গরমকালে বেশি করে চুলের যত্ন নিতে হবে। চুলের গোড়ায় মোটেই ঘাম জমতে দেওয়া যাবে না। এছাড়াও আরও যে সব নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে-

ঋতু পরিবর্তনের সময় কোঁকড়া চুলে অনেক বেশি ফ্রিজি ভাব দেখা যায়। আর তাই চুলকে মসৃণ রাখতে এই সময় কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে। সেই সঙ্গে চুলের শুষ্ক ভাব দূর করতে জল বেশি করে খেতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। তবে গরমে বেশি করে ফল, ফলের রস এসব কিন্তু খেতেই হবে।

শিয়া বাটার বা তিল তেল রয়েছে এমন উপাদান ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তুলে এমন কিছু তেল লাগান যা ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করবে। শিয়া বাটার চুলকে নরম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও খোলা মাথায় ১ ঘন্টার বেশি কিন্তু রোদে থাকবেন না।

ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। ইমোলিয়েন্টের সুগন্ধ চুলকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত সতেজ রাখে। সেই সঙ্গে চুলকে রাখে মসৃণ। এবং সেই সঙ্গে কিন্তু চুলের জেল্লা বাড়ায়। ফলে দেখতে অতটাও শুকনো লাগে না।

কোঁকড়া চুল হয়ে সব সময় চেষ্টা করুন সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে। সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করলে স্ক্যাল্প যেমন ভাল থাকে তেমনই মাথার তৈল গ্রন্থির ক্ষরণও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও মাথার পি এইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই শ্যাম্পু। যে কোনও রকম অ্যালার্জি প্রতিরোধেও কিন্তু কার্যকরী এই শ্যাম্পু।

কেটোকোনাজোলযুক্ত (ketoconazole) শ্যম্পু দিয়ে সপ্তাহে দু- তিনবার অবশ্যই শ্যাম্পু করবেন। এতে মাথার ত্বক থাকে পরিষ্কার। সেই সঙ্গে চুলকানি সংক্রান্ত কোনও সমস্যাও কিন্তু থাকবে না। যাঁদের মাত্রায় ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁরা এই শ্যাম্পু ব্যবহার করতেই পারেন।

কোঁকড়া চুলে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার যত কম ব্যবহার করা যায় ততই কিন্তু ভাল। গরম কালে চুল এমনিই শুষ্ক থাকে। ফলে এই সময় আলাদা করে চুলে এসব ব্যবহার না করতে পারলেই ভাল। এতে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও নষ্ট হয়ে যায়। চুলে রং করা, ব্লিচ করা এসবও না করলেই ভাল। এতে চুলের পি এইচ ভারসাম্য একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। রোজ নিয়ম করে তেল-জল লাগান। এতেও কিন্তু চুল থাকবে ভাল।