AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hair Care: টক দইয়ে চুলের যত্ন, প্রাকৃতিক কন্ডিশনারে ফিরবে ঝলমলে উজ্জ্বলতা!

টক দইয়ের বিরাট গুণ। প্রাচীনকাল থেকেই দই ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে। এতে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি৫ ও ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা দূর করে আর স্ক্যাল্পকে রাখে সুস্থ।

Hair Care: টক দইয়ে চুলের যত্ন, প্রাকৃতিক কন্ডিশনারে ফিরবে ঝলমলে উজ্জ্বলতা!
Hair Care: টক দইয়ে চুলের যত্ন, প্রাকৃতিক কন্ডিশনারে ফিরবে ঝলমলে উজ্জ্বলতা!Image Credit: Pinterest
| Updated on: Oct 13, 2025 | 10:00 AM
Share

চুলে প্রাণ নেই, উজ্জ্বল ভাব হারিয়ে গিয়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রভ চুল দেখাচ্ছে? এই সমস্যার সমাধান আপনার রান্নাঘরেই লুকিয়ে আছে। তা হল টক দই। যা শুধু পেটের যত্নেই নয়, চুলেরও এক অনন্য টনিক। প্রাচীনকাল থেকেই দই ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে। এতে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি৫ ও ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা দূর করে আর স্ক্যাল্পকে রাখে সুস্থ।

টক দই কীভাবে চুলকে ভাল রাখে?

১. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে টক দই

টক দই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও জট ছাড়াতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুর পর আধা কাপ দই মাথায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল হবে মোলায়েম। এবং সহজে তা আচড়ানো যায়।

২. খুশকির প্রাকৃতিক ওষুধ

দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড স্ক্যাল্পের মৃত কোষ দূর করে, ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রোধ করে। এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দই স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। এটা সপ্তাহে দুইবার করলে খুশকি অনেকটাই কমে যাবে।

৩. চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়

দইয়ে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন বি৫ চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া রোধ করে। অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে লাগালে ফল আরও ভাল হয়।

৪. শুষ্ক ও রুক্ষ চুলে ম্যাজিক মাস্ক

আধা কাপ দই, এক চামচ মধু ও এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। গোটা চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর হালকা শ্যাম্পু করুন। এতে চুলে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

৫. তৈলাক্ত চুলেও উপকারী

দই স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে চুলকে ফ্রেশ রাখে। এক চামচ মেথি বাটা মিশিয়ে লাগালে তৈলাক্তভাব দূর হয় ও মাথার ত্বক ঠান্ডা থাকে।

৬. চুলের ফ্রিজিভাব কমাতে সাহায্য করে

দইয়ের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ফ্রিজি চুলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুকনো আবহাওয়ায় এটি ব্যবহার করলে চুলের স্ট্যাটিক ও রাফনেস কমে যায়।

৭. রঙ করা চুলেও নিরাপদ যত্ন

দই প্রাকৃতিকভাবে কেমিক্যাল-ফ্রি, তাই কালার করা বা হিট-ট্রিটেড চুলেও এটি ব্যবহার করা যায়। চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে রঙটাও করে তোলে আরও উজ্জ্বল।

৮. কতবার ব্যবহার করবেন ও কীভাবে করবেন?

সাধারণত সপ্তাহে ১-২ বার টক দইয়ের হেয়ার মাস্ক যথেষ্ট। সরাসরি স্ক্যাল্পে লাগানোর আগে চুল হালকা ভিজিয়ে নিন, এতে দই ভালভাবে ছড়িয়ে যায়।

বিশেষ টিপস – যাঁদের চুল সহজেই তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাঁরা দইয়ে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দূর করে স্ক্যাল্পকে রাখে পরিষ্কার।

বাজার থেকে অনেকটা দাম দিয়ে কেনা কন্ডিশনারের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর, নিরাপদ ও প্রাকৃতিক এই টক দই দিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলে ফিরে আসে প্রাণ, নরম ভাব এবং স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতারও ওয়াপসি হয়। তাও আবার একেবারে ঘরোয়া ছোঁয়ায়।