Narkel Naru Recipe: নারকেল নাড়ুতেই ফিদা হয়ে যাবে ৮ থেকে ৮০! একবার এভাবে রেঁধে দেখুন
দশমী মানেই বাঙালি বাড়িতে নানারকম মিষ্টির আয়োজন। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ, অথচ খেতে ভীষণ মজাদার হল নাড়ু। আগে থেকে বানিয়ে রাখা যায়, আবার অতিথি আপ্যায়নের জন্যও দুর্দান্ত। তবে সমস্যা একটাই—অনেক সময় নাড়ু শক্ত হয়ে যায়। আসলে সঠিক উপাদান বাছাই, পরিমাণ এবং রান্নার টেকনিক না মেনে চললেই এমন হয়।

দশমী মানেই বাঙালি বাড়িতে নানারকম মিষ্টির আয়োজন। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ, অথচ খেতে ভীষণ মজাদার হল নাড়ু। আগে থেকে বানিয়ে রাখা যায়, আবার অতিথি আপ্যায়নের জন্যও দুর্দান্ত। তবে সমস্যা একটাই—অনেক সময় নাড়ু শক্ত হয়ে যায়। আসলে সঠিক উপাদান বাছাই, পরিমাণ এবং রান্নার টেকনিক না মেনে চললেই এমন হয়। তাই নরম, স্বাদে ভরপুর নাড়ু বানানোর কিছু কৌশল জেনে নিন এখনই।
উপকরণ
নারকেল কোরানো – ২ কাপ
গুড় (খেজুর গুড় বা গাঢ় রঙের পাটালি) – ১ কাপ
চিনি – ৩-৪ টেবিল চামচ (যদি বাড়তি মিষ্টি চান)
এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা-চামচ
ঘি – ১ টেবিল চামচ
জল – ১/২ কাপ
প্রণালী
প্রথমে একটি কড়াইয়ে গুড় ও জল দিন। গুড় গলতে শুরু করলে ছেঁকে নিন যাতে ময়লা বেরিয়ে যায়। এবার সেই গুড়ের রস আবার কড়াইয়ে ফোটান। টেস্ট করার জন্য আঙুলে সামান্য ফোঁটা দিয়ে দেখুন—আলগা আঠালো হলে সেটাই সঠিক সময়। একেবারে শক্ত সুতো হলে নাড়ু শক্ত হয়ে যাবে। এখন কোরানো নারকেল গুড়ের মধ্যে দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। কম আঁচে রান্না করতে হবে। নারকেল-গুড় মিশ্রণ যখন কড়াইয়ের তলা ছাড়তে শুরু করবে, তখন তাতে এলাচ গুঁড়ো ও সামান্য ঘি দিয়ে দিন। নামিয়ে সামান্য গরম থাকা অবস্থায় হাতের তালুতে ঘি মেখে একে একে গোল করে নাড়ু গড়ে নিন।
মনে রাখবেন, শুকনো নারকেলে নাড়ু শক্ত হয়ে যায়। তাই সম্ভব হলে দশমীর আগেই কোরানো টাটকা নারকেল ব্যবহার করুন। গুড় ফোটানোর সময় খুব বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। গুড় বেশি গরম হয়ে গেলে নাড়ু শক্ত হয়ে যায়।
নারকেল ও গুড়ের মিশ্রণ যখন আঠালো হবে, কিন্তু শক্ত হয়নি তখনই নামাতে হবে। এতে নাড়ু নরম থাকবে। হালকা গরম থাকতে গড়ুন নাড়ু। একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেলে নাড়ু শক্ত হয়ে যায়। তাই গরম গরম, হাতে সামান্য ঘি মেখে গোল করে নিন। সংরক্ষণে খেয়াল রাখুন। এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখলে অনেক দিন নরম থাকবে।
নাড়ু বানানোর সময় চাইলে তাতে কিশমিশ, কাজু বা বাদাম কুঁচি দিয়ে দিতে পারেন। এতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়বে।
