৫ পাতার হরেক গুণ, খালিপেটে চিবিয়ে খেলেই হবেন তরতাজা ও রোগমুক্ত
সবুজ ও টাটকা পাতার প্রচুর পুষ্টিগুণ। খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর বেশ কয়েকটি পাতা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে।

রোগমুক্ত জীবন কে না চায়! কিন্তু আজকালকার দিনে রোগমুক্ত থাকা যেন একটা চ্যালেঞ্জ। আপনি কি আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মানেন? তাহলে যদি রোগমুক্ত শরীর চান একখানা ছোট্ট উপায় মানতে পারেন। ঘুম থেকে উঠেই যদি চাঙ্গা অনুভব করতে চান, তাহলে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে বেশ কয়েকটি পাতা। জানেন সেই পাতা কোনগুলি?
আসলে সবুজ ও টাটকা পাতার প্রচুর পুষ্টিগুণ। খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর বেশ কয়েকটি পাতা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে। দেখে নিন তেমন পাঁচ রকমের সবুজ পাতা, যা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকবেই, সঙ্গে লাগবে বেশ ফ্রেশ। নিম্নে সেই পাতাগুলি উল্লেখ করা হল —
- পুদিনা পাতা – অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর পুদিনা পাতা। এই পাতা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে মুখগহ্বরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা আটকে যায়। পাশাপাশি এই পাতা বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে।
- তুলসী পাতা – তুলসী পাতার যত উপকারিতার কথা বলা হয়, ততই যেন কম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সর্দি কাশি, সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। কাঁচা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে যায়। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাদেরও এটি খাওয়া ভালো।
- পালং শাক – সবজি করে পালং শাক অনেকেই খান। তবে এটি কাঁচা অবস্থায় খেলে অনেক উপকার মেলে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফোলেচের মতো নানা খনিজ রয়েছে পালং পাতায়। ভিটামিন এ, সি ও কে রয়েছে পালং শাকে।
- কারি পাতা – শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে কারি পাতা। খালি পেটে এই পাতা চিবিয়ে খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কারিপাতা বেশ কার্যকর। যা ত্বক এবং চুলের জন্যও খুব ভালো।
- সজনে পাতা – এই পাতায় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। খালি পেটে সজনে পাতা চিবিয়ে খেলে হজম খুব ভালো হয়। শরীরও সুস্থ থাকে।
যদি কোনও রকম পাতা কাঁচা চিবিয়ে খেলে শরীর খারাপ বোধ হয়, তা হলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ দ্রষ্টব্য – উপরিল্লিখিত তথ্য শুধুমাত্র পাঠককে জানানোর জন্য। এই ধরনের পাতা খেয়ে যদি কোনও শারীরিক সমস্যা হয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
