Rio de Janeiro: রঙিন বৈচিত্র্যময় ফ্যাশন আর সাম্বার তাল! করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ফের উত্‍সবে মজে রিও

Fashion In Brazil: গত ২০ এপ্রিল থেকে সাও পাওলোতে, কার্নিভালের প্য়ারেড শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিলে। কুচকাওয়াজ, সাম্বার তালে নৃত্য, বিভিন্ন সাজে মানুষের উদ্দাম নাচ, গানে তালে গোটা শহরের সুরের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

Rio de Janeiro: রঙিন বৈচিত্র্যময় ফ্যাশন আর সাম্বার তাল! করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ফের উত্‍সবে মজে রিও
করোনার পর ফের ছন্দে রিও ডি জেনেরিও কার্নিভাল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2022 | 6:05 PM

করোনা (COVID 19 Pandemic) এখনও ছেড়ে যায়নি, কিন্তু মানুষ সেই আতঙ্কের কাটিয়ে এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে। করোনা অতিমারির জেরে টানা ২ বছর প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বের বিনোদন জগত। তবে এবার মারণভাইরাসের প্রকোপ নিম্নগামী হতেই স্বাভাবিক জীবনে শান্তিতে কাটাতে সেই পুরনো উত্‍সব আনন্দে মেতে উঠেছেন সকলেই। অতিমারির ভয় কাটিয়ে ফের ব্রাজিলে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ও বিশ্বের সেরা ও বৃহত্তম রিও ডি জেনেরিও কার্নিভাল ( Rio de Janeiro Carnival)।

চারিদিকে শুধুই রঙের খেলা। সঙ্গে উত্‍সব আনন্দের আতসবাজি। নাচে-গানে মুগ্ধকর আয়োজন বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষের নজর কাড়ে এই বৈচিত্রময় উত্‍সব। বিশ্বের অন্যতম রঙিন ও জাঁকজমকপূর্ণ এই উত্‍সবের অন্যতম আকর্ষণ হল সাম্বার তালে নৃত্যরত নৃত্যশিল্পীরা। হাজার হাজার মানুষকে বিনোদন ও আনন্দে ভরিয়ে তোলাই তাঁদের নেশা।

ব্রাজিল মানেই সাম্বার ড্রামে তালে তাল মিলিয়ে উদ্দাম নৃত্য। ১৭২৩ সালে সর্বপ্রথম রিও দি জেনেরিওতে এ উৎসব উদযাপিত হয়েছিল। ১৯৮০ সাল থেকে এই প্য়ারেডের আয়োজন করা হয়। তারপর থেকে ব্রাজিলের কার্নিভালের অন্যতম প্রতীক হয়ে যায়। মহামারির সময় প্রায় ৪০০০এর বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন। কারণ সেই আবাসস্থলগুলি সেই সময় টিকা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

গত ২০ এপ্রিল থেকে সাও পাওলোতে, কার্নিভালের প্য়ারেড শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিলে। কুচকাওয়াজ, সাম্বার তালে নৃত্য, বিভিন্ন সাজে মানুষের উদ্দাম নাচ, গানে তালে গোটা শহরের সুরের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ব্লিচারের একটি সিটের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অন্যদিকে সবচেয়ে দামি সিটের দাম প্রায় ১,২৬০ ডলার। তবে তাতে কী, রিও-র তালে গা ভাসাতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কৌতূহলীরা। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ অংশ নিলেও করোনার কারণে এবার অত্যন্ত সীমিত পরিসরে হচ্ছে আয়োজন। তবুও সাম্বা’র তালে আসেনি এতটুকুও কমতি।

২০০৪ সাল থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎসব হিসেবে বুক অব রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যে-কোন সময়ে, যে কোন স্থানে তিন শতাধিক বান্দাস অংশ নিয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাম্বা স্কুল, মাসুয়েরাদেসের ন্যায় পার্টিগুলো তাদের চিরাচরিত পোশাক পরিধান করে এতে অংশ নেয়। এছাড়াও এতে সাংস্কৃতিক, সঙ্গীত ও যৌনতার এক মহাসম্মেলন তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: Ranveer Singh: এয়ারপোর্ট লুকে অন্য অবতারে রণবীর! ডিজাইনার এই স্যুটের দাম কত জানেন?