Maheshwari Silk: সিল্ক-সুতির মিক্সড এই ১০০০ টাকার শাড়িই দেদার বিকোচ্ছে পুজোর বাজারে, আসল মাহেশ্বরী চিনবেন কী ভাবে?

Puja Fashion: মেজোপিসির সুতির শাড়ি, পিসিঠাম্মার তাঁত, বৌমণির সিল্ক, মায়ের বালুচরী- তালিকা অনেক লম্বা থাকে। সবার জন্য পছন্দমতো শাড়ি যখন কিনবেন তখন বাজেটও বেঁধে ফেলতে হবে। প্রচি বছর পুজোয় কিছু না কিছু শাড়ির হাই ডিমান্ড থাকে। এবারে বাজার কাঁপাচ্ছে মাহেশ্বরী। মাহেশ্বরী সিল্ক কিনছেন প্রচুর মানুষ। ১০০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে এই শাড়ি

Maheshwari Silk: সিল্ক-সুতির মিক্সড এই ১০০০ টাকার শাড়িই দেদার বিকোচ্ছে পুজোর বাজারে, আসল মাহেশ্বরী চিনবেন কী ভাবে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2023 | 8:29 PM

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির নস্ট্যালজিয়া। প্রতি বছর এই দিনটি আসা মানেই পুজোর ঢাক বেজে যাওয়া। পুজোকে ঘিরে যাবতীয় উন্মাদনা একেবারে তুঙ্গে ওঠে এই দিনটি থেকেই। কলকারাখানা থেকে শুরু করে অফিস সর্বত্রই আরাধনা হয় শিল্প দেবতার। নিয়ম করে এই দিনটিতে বৃষ্টি হলেও একঝলক পেঁজা তুলোর মেঘ এদিন দেখা যাবেই। সকাল থেকেই মাইক, ধুনো আর ঢাকের আওয়াজে জমজমাট পাড়া। সন্ধ্যে হলেই রাজ্য জুড়ে দেখা যায় অন্য নকশা। একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরনো, প্যান্ডেলে খিচুড়ি খাওয়ার সঙ্গে চলে পুজোর প্ল্যানিং। পুজোর বাকি আর মাত্র একমাস। জমে উঠেছে পুজোর কেনাকাটা। সামনের এই দুটো মাস সকলেরই এখন অনেক খরচা। আর তাই রীতিমতো কাগজ-কলম নিয়ে প্ল্যান কষে তবেই হচ্ছে পুজোর শপিং। পুজোতে নিজের জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি সকলকে দেওয়ার মধ্যেও আনন্দ রয়েছে।

মেজোপিসির সুতির শাড়ি, পিসিঠাম্মার তাঁত, বৌমণির সিল্ক, মায়ের বালুচরী- তালিকা অনেক লম্বা থাকে। সবার জন্য পছন্দমতো শাড়ি যখন কিনবেন তখন বাজেটও বেঁধে ফেলতে হবে। প্রচি বছর পুজোয় কিছু না কিছু শাড়ির হাই ডিমান্ড থাকে। এবারে বাজার কাঁপাচ্ছে মাহেশ্বরী। মাহেশ্বরী সিল্ক কিনছেন প্রচুর মানুষ। ১০০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে এই শাড়ি। চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে এর দাম। আপনার মনে হতেই পারে কী এই মাহেশ্বরী? মধ্যপ্রদেশের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি হল এই মাহেশ্বরী। শাড়ির প্রতিটি বুননে রয়েছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। তাঁতিতের হাতে বোনা নকশায় প্রাচীন দুর্গের ইতিহাস। ফ্যাশন ও আভিজাত্যের মিশেলে এই শাড়ি সত্যিই অতুলনীয়। বঙ্গ নারীর অঙ্গেও জৌলুষ ছড়াচ্ছে মধ্যপ্রদেশের মাহেশ্বরী।

মন্দিরে ঘেরা শহর মহেশ্বর। মধ্যপ্রদেশে মানুষের বসবাস শুরু হয়েছিল নর্মদা, চম্বল ও বেতোয়া এই নদীগুলির অববাহিকায়। এখানকার তাঁতিদের বুনোটেই তৈরি হয় মাহেশ্বরী। কটন আর চান্দেরির সুতোতে বোনা হয় এই শাড়ি। মনে করা হয় মধ্যপ্রদেশে হোলকার রাজবংশের আমলে এই শাড়ির চল শুরু হয়। এই রাজবংশের রানি অহল্যাবাই প্রথম মাহেশ্বরী শাড়ির নকশা করেছিলেন। মাহেশ্বরী তাঁতিদের হাতের কাজই আলাদা। বিভিন্ন দুর্গ আর মন্দিরের নকশা তোলা থাকে মাহেশ্বরীর পাড়ে। ব্যাঙ্গালোর আর কোয়েম্বাটোর সিল্কের উপর মূল বুনন কাজ করা হয়। এই শাড়ির দু দিকে থাকে জরির পাড় আর জরি আসে সুরাত থেকে। সিল্ক-কটন ব্লেন্ড করে তৈরি হয় এই শাড়ি। আমাদের এখানকার আবহাওয়াতে এই শাড়ি অত্যন্ত আরামদায়ক।