Paloma Monnappa: শ্রীলঙ্কার সমুদ্রতটে জাপানি কিমোনোতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী! চেনেন তাঁকে?
Kimono Style: বিকিনিতে একাধিক ফটোশুট করেছেন পালোমা। কখনও শ্রীলঙ্কা, কখনও মালদ্বীপ আবার কখনও সোজা উড়ে গিয়ছেন থাইল্যান্ডের সমুদ্রতটে
ভারতীয়রা এখনও প্রতি মুহূর্তে বর্ণবিদ্বেষের শিকার। তবুও তাঁদের চামড়া, তাঁদের রক্তের গ্ল্যামারই অন্যরকম। সম্প্রতি এজবাস্টন ইংল্যান্ড-ভারতের টেস্ট চলাকালীন গ্যালারিতে বর্ণবাদী আচরণ করা হয় ভারতীয়দের সঙ্গে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। যা নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া। শুধুই বর্ণবিদ্বেষ নয়, নানা দিক থেকে ভারতীয়দের ছোট করার প্রবণতা এখনও রয়ে গিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলিতে। এককালে সৌন্দর্যের সংজ্ঞাটা ছিল অন্যরকম। সুন্দরের মাপকাঠিতে ফর্সা চুল আর একঢাল কালো অথবা বাদামী চুলই অগ্রাধিকার পেত। যদিও এখনও বেশ কিছু মানুষের মনেই সেই ছবি গেঁথে রয়েছে। গায়ের রং ফর্সা মানেই সুন্দরী, সমাজ তার দৃষ্টিভঙ্গি এই দুই শব্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবুও বিদেশিনিদের ভিড়ে ভারতীয় কাব্যগ্রন্থে, সংস্কৃতিতে নিজেদের স্থান পাকা করে নিলেন কৃষ্ণকলিরাই।
মাথায় ঘোমটা নেই, খোলা পিঠে আলগোছে পড়ে থাকা মুক্তবেণী আর ওই কাজল-কালো চোখেই লুকিয়ে যাবতীয় ‘গুপ্ত’ রহস্য। কথায় কথায় ‘Black Beauty’-আমরা বলি বটে কিন্তু তার সঠিক প্রয়োগ খুব কম জায়গাতেই হয়। সাহিত্য, তত্বকথা কিংবা ফ্যাশানের থিয়োরি মেনে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা তৈরি করা যায় না। সুন্দরের প্রতিমূর্তি তৈরি করে আমাদের মন। আর তাই হয়ত সোশ্যাল মিডিয়ার ভিড়ে সুন্দরীদের চিনে নিতে চোখ আর মনকে খানিকটা বেগ পেতে হয়। কিন্তু যখন আমাদের ভাবনার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া যায় তখনই আমরা খুঁজে পাই স্বপ্নে দেখা সেই অবয়বের।
তেমনই একজন পালোমা মোনাপ্পা ( Paloma Monnappa),। জন্ম কেরলে, পরবর্তীকালে কর্মসূত্রে মুম্বই এর বাসিন্দা। পরিচয়ে- ইন্ডিয়ান সার্ফার, মডেল, সঞ্চালক এবং অভিনেত্রী। ডিসকভারি চ্যানেলে একটি ভ্রমণ শো-এর মাধ্যমে তাঁর আত্মপ্রকাশ। প্রথম অভিনয় মালায়লম সিনেমাতে। এছাড়াও কিছু সিরিজেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২৫ বছরের এই তরুণীর ইন্সটাগ্রামে ফ্যান ফলোইং তেমন চোখ ধাঁধানো না হলেও যা আছে তা নেহাত মন্দ নয়।
বিকিনিতে একাধিক ফটোশুট করেছেন পালোমা। কখনও শ্রীলঙ্কা, কখনও মালদ্বীপ আবার কখনও সোজা উড়ে গিয়ছেন থাইল্যান্ডের সমুদ্রতটে। প্রতিটি পোশাকে দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে তাঁর শরীর শৈলী। স্পষ্ট যৌন আবেদন, তবুও তার মধ্যে কোনও ছলনা নেই। বিকিনি, অন্তর্বাসে একাদিক ছবি রয়েছে তাঁর। কিছু ছবিতে পালোমা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর কাছে একমাত্র বিকিনিই হল আরামদায়ক পোশাক। একগুচ্ছ ছবির ভাণ্ডার থেকে নজর কাড়ে পালোমার কিমোনো ( kimono)-তে এই ফটোশুটটি।
সাদা-কালো প্রিন্টের এই কিমোনোর ছড়ানো ভি-কাটে নেকলাইন স্পষ্ট। উন্মুক্ত বক্ষযুগলের সঙ্গে স্পষ্ট স্তনবৃন্তও। গলায় ট্রাইবাল সিলভার নেকপিস, কানে দুল, কপালে ছোট্ট কালো টিপ আর চুলে বেণি করে সামনে এলিয়ে দেওয়া- ব্যাস এইটুকুই হল পালোমার সাজ। কোনও কিছুই একবারের জন্য অতিরিক্ত বলে মনে হয়নি। কিংবা মনে হয়নি যে তিনি নিজেকে এই পোশাকে ফ্লন্ট করছেন।
তবে আপনার মনেও প্রশ্ন আসতে বাধ্য কি এই কিমোনো?
কিমোনো হল জাপানের প্রাচীন পোশাক। এককালে তা ছিল জাপানের পুরুষ ও মহিলাদের অন্তর্বাস। পরবর্তীতে যে কোনও স্থানীয় অনুষ্ঠানেই জাপানি মহিলাদের দেখা যেত এই পোশাকে। কিমোনোতেও নানা প্রিন্ট পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে তা মহিলাদের ফ্যাশানের সঙ্গে পরিবর্তিত। অর্থাৎ ফ্যাশানের খাতিরেই কিমোনোকে নতুন ভাবে ডিজাইন করে নেওয়া হয়েছে।
পড়ন্ত সূর্যের আলোয় নিজেকে এই বিশেষ পোশাকে ফ্রেমবন্দি করেছেন পালোমা। আহামরি সাজ কিংবা পোশাকের ঘনঘটা নয়, সাদা-কালোতে রূপের ছটায় হাজারো ফ্যাশান অনুরাগীর মন কেড়ে নিতে জানেন এই কন্যে।