এবার আমের ফলন বেশ ভাল। জলের দরে বিকোচ্ছে হিমসাগর। শুধু হিমসাগর নয়, ল্যাংড়া, ফজলি, বেগমফুলি সব রকম আমেরই ফলন বেশ ভাল।
বছরে মাত্র একবারই বাজারে আসে এই পাকা আম। আর এর জন্য অপেক্ষা থাকে বছরভর। ফলের রাজা আম। আর আম খেতে কে না ভালবাসে।
পাকা আম দিয়ে কত কিছুই না হয়। আইসক্রিম, পুডিং, কেক, মিষ্টি, চাটনি, জ্যাম-জেলি থেকে শুরু করে এমনকী চিকেন পর্যন্ত রান্না করা যায়। এছাড়াও ছাতু, মুড়ি, চিঁড়ে দিয়ে আম-দই-কলা এসব খেতে বেশ লাগে।
তবে চিকিৎসকেরা আম আর দই একসঙ্গে খেতে মানা করছেন। আমে প্রচুর ভিটামিন সি, বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও খনিজ লবণসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে, তবে আম খাওয়ারও আছে কিছু নিয়ম-কানুন। আর তাই ভাতের সঙ্গে আম মেখে খাবেন না।
আম খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জল খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে কারণ এর ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। গ্যাস জমতে পারে। আম খাওয়ার অন্তত ৩০-৬০ মিনিট পর জল খাওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আম বেশি খেলে সেখান থেকে আমাশাও হতে পারে।
আম আর তেঁতো কখনই একসঙ্গে খাবেন না। আমের সঙ্গে শুক্তো, নিম, করলা ভাজা এসব একেবারেই চলবে না। এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন। কোথাও খেতে গেলে এই ভুল যেন না হয় সেদিকে নজর রাখুন।
আমদই এখন খুবই জনপ্রিয়। এই আমদই বানানোর পদ্ধতি আলাদা। তবে মিষ্টিদই আর আম একসঙ্গে নয়। বাড়িতে এখন কোনও অতিথি এলে এই আম আর দই একসঙ্গেই পরিবেশন করা হয়। বিশেষত জন্মদিন বা কোনও অনুষ্ঠানে। এতে হজম ঠিকমতো হয় না, অ্যাসিডিটির সম্ভাবনাও থাকে।
আম খাওয়ার পর কোনও রকম মিষ্টি বা সোডা পানীয় খাবেন না। আমের মধ্যে থাকে শর্করা। আর কোল্ড ড্রিংকের মধ্যে তো থাকেই। ডায়াবেটিসের রোগীরা এই ভুল কোনও ভাবেই করবেন না।