Food futurism: খাদ্যের নিরাপত্তা এবং খাদ্য ভবিষ্যৎ: যা পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

Food Security: বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি যেভাবে এগিয়েছে তাতে আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা, খাওয়া-দাওয়ায় এসেছে একাধিক পরিবর্তন। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন, মহামারীর মত ঘটনায় আরও ভারতকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে

Food futurism: খাদ্যের নিরাপত্তা এবং খাদ্য ভবিষ্যৎ: যা পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
খাদ্য সংরক্ষণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ বিজ্ঞানীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2022 | 6:03 PM

খাদ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে এবার নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে। পর্যাপ্ত খাদ্য যোগানের প্রচেষ্টায় ভারত অনেকটা দূর এগিয়েছে। জমিতে কীটনাশকের প্রয়োগ কমিয়ে সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাই ভারতের আগামী লক্ষ্য।

বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি যেভাবে এগিয়েছে তাতে আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা, খাওয়া-দাওয়ায় এসেছে একাধিক পরিবর্তন। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন, মহামারীর মত ঘটনায় আরও ভারতকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে আরও নিরাপদ এবং ঠিকঠাক খাবারের যোগান বিষয়ে আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। তবে বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, উদ্ভাবনী শক্তি এবং জেনেটিক্সকে কাজে লাগাতে পারলে কিন্তু ভবিষ্যতের খাদ্য-নিরাপত্তা বিষয়ে কেনও রকম সমস্যা থাকবে না। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার ও প্রোটিনযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞানের নতুন এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে কিন্তু সর্বোত্তম মানের খাদ্য উৎপাদন করা যাবে। আর এই  খাদ্য উৎপাদনের জন্য বারে বারে জেনেটিক্সকেই কাজে লাগানোর প্রতি সওয়াল করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও খাদ্যের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য প্রজনন পদ্ধতির ব্যবহার হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে খাদ্য যাতে পুষ্টিকর হয় সেদিকেই কিন্তু বেশি করে নজর দিতে হবে। এছাড়াও খাবারের মধ্যে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি আর খনিজ থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংও আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। অধ্যাপক কেসি বানসাল,( প্রাক্তন পরিচালক, দিল্লি আইসিএআর-ন্যাশনাল ব্যুরো অফ প্ল্যান্ট জেনেটিক রিসোর্সেস)- যেমন জানান সরকারের উচিত কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি আরও বেশি করে ব্যবহার করা।

‘ভারতে তৈলবীজ এবং ডালের উপর আরও জোর দেওয়া দরকার। ছোলা, কাবলিছোলা এসব চাষ যতবেশি বাড়ানো যায় ততই কিন্তু ভাল। জিনগত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সব দানা শস্যের চাষ আরও বেশি বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে যাবতীয় ফসলকে ভালভাবে রক্ষা করতে হবে। কারণ ভারতে চাষের জমিতে কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেশি। ফলে কীটনাশকও পরিমাণে বেশি ব্যবহার করতে হয়। তাই জেনেটিক্স ব্যবহার করাই শ্রেয় এর জন্য। জিএম প্রযুক্তি শুধু খাবারের পরিমাণই নয়, এর গুণমানও বাড়াতে সাহায্য করবে,” পরামর্শ দেন প্রফেসর বনসাল। তবে তিনিও কিন্তু বারবার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রতিই সওয়াল করেছেন। কারণ পুষ্টি রক্ষায় সবথেকে ভাল কাজ করে প্রোটিন।

‘খাদ্য শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং যথাযথ খাদ্যের যোগান মেটাতে সকলকে একত্রিত হতে হবে। সেই সঙ্গে খাবারের স্বাদ যাতে ভাল হয় এবং স্বল্পমূল্যে যাতে খাবার পাওয়া যায় সেদিকেই বেশি করে নজর দিতে হবে। উদ্ভিজ প্রোটিনের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। অন্যান্য প্রাণীজ প্রোটিন কিংবা মাংসের তুলনায় এই উদ্ভিজ প্রোটিন কিন্তু অনেকটাই ভাল। স্বাদ আর স্বাস্থ্য দুই রক্ষা হয়। কাজেই আরও বেশি জোর দিতে হবে এই উদ্ভিজ প্রোটিনের ক্ষেত্রে’। মত দ্য গুড ফুড ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর বরুণ দেশপাণ্ডের।

খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য খাদ্য ভবিষ্যৎ: বিশেষজ্ঞরা কী পরামর্শ দিয়েছেন তা এখানে

খাদ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। খাদ্য পর্যাপ্ততা অর্জনের প্রচেষ্টায় ভারত অনেক দূর এগিয়েছে। রাসায়নিক কীটনাশকের উপর নির্ভরতা কমিয়ে সুষম খাদ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর খাবারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ভারতের জন্য পরবর্তী সীমান্ত।

আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপন, খাওয়া এবং ভ্রমণের পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহামারীর মতো চ্যালেঞ্জের মুখে, ভারতের আরও নিরাপদ, টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত খাদ্য ব্যবস্থা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভাবনী উদ্ভাবন এবং জেনেটিকালি পরিবর্তিত খাদ্য ভারতকে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে, জনস্বাস্থ্যের স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে এবং পুষ্টিকর প্রোটিনের গুণমান ও সামর্থ্য বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

উচ্চতর বিজ্ঞান-ভিত্তিক প্রযুক্তি আজ সর্বোত্তম মানের খাদ্য উত্পাদন করতে উপলব্ধ। আমি জিএম খাদ্য উৎপাদনের জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং উল্লেখ করছি। যদিও আমরা আমাদের খাদ্যের পরিমাণ এবং গুণমান বৃদ্ধির জন্য প্রজনন পদ্ধতির ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছি, আজকের সময়ে যদি আমরা আমাদের খাবারে নির্দিষ্ট খনিজ ও পুষ্টি যোগ করতে চাই তাহলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সম্প্রতি উন্নত জিনোম এডিটিং প্রযুক্তি প্রচলিত রয়েছে। বিশ্ব,” বলেছেন অধ্যাপক কেসি বানসাল, প্রাক্তন পরিচালক, আইসিএআর-ন্যাশনাল ব্যুরো অফ প্ল্যান্ট জেনেটিক রিসোর্সেস, নিউ দিল্লি৷
জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ারড খাদ্য আইটেমগুলি ভারতকে কীভাবে উপকার করতে পারে তা তুলে ধরে, ডঃ বনসাল পরামর্শ দেন যে সরকারের উচিত কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের প্রচার করা।