Foods to Avoid in Winter: শীতকালে এই ধরনের খাবারগুলো এড়িয়ে না চললে আপনার শরীরে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে…
এই খাবারগুলো খেলে আপনার স্বাস্থ্যকর উন্নতি তো হবেই না, উল্টে গুরুতর স্বাস্থ্যকর সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন...
শীতকালে কিছু কিছু খাবার না খেলেই যেমন নয়, তেমনই আবার বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হয়। এমনই কিছু খাবারের কথা নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে। তার আগে জেনে নেওয়া দরকার, খাবারের সঙ্গে ঋতুর সম্পর্ক ঠিক কী? কনকনে শীতে শরীর কেমন যেন মলিন হয়ে যায়। ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ, চেহারার লাবণ্যতা ও উজ্জ্বলতা কমে আসে এবং তার পাশাপাশি ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা তো আছেই। এছাড়া এই সময়ে যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চাই শীতকালের অতিরিক্ত যত্ন ও সঠিক খাদ্য নির্বাচন।
অর্থাৎ, গরমকালে যেমন অতিরিক্ত ভারী খাবার বা গরম খাবার খেলে শরীর গরম হয়ে যায় আর সেই কারণে পেটের নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়, ঠিক তেমনই, শীতকালেও এরকম কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরের আখেরে অনেকরকমের ক্ষতি হতে পারে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে শীতকালে নিষিদ্ধ কিছু খাবারের সম্বন্ধে জানা যায়। এই খাবারগুলো খেলে আপনার স্বাস্থ্যকর উন্নতি তো হবেই না, উল্টে গুরুতর স্বাস্থ্যকর সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আসুন, তবে জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবারগুলো শীতকালে না খাওয়াই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল…
১. শীতের এ সময় মিষ্টি খাবার যেমন- কেক, সিরিয়াল, বাজারজাত জুস, কোমল পানীয়, উচ্চমাত্রার চিনি দিয়ে তৈরি খাবার বেশি খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
২. ইতালিয়ান পাস্তা যদিও খেতে সুস্বাদু কিন্তু শীতের সময় এ খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ম্যাকারনি, পাস্তার মতো খাবারগুলো অতিরিক্ত কফ তৈরি করে।
৩. শীতের সময় সব ধরনের ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবারে উচ্চ মাত্রার ফ্যাট থাকে।
৪. শীতে অসুস্থতা এড়াতে হিস্টামিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবারের মধ্যে ডিম, মাশরুম, টমেটো, শুকনো ফল, দই উল্লেখযোগ্য। এসব খাবার শীতের দিনে অতিরিক্ত কফ তৈরি করে।
৫. বুকে কফ জমলে, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি হলে শীতের সময় চিকিৎসকরা দুগ্ধ জাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এসব খাবার খেলে বুকে কফ জমার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।
৬. শীতের এই সময় কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক কিংবা অন্য যে কোনও ধরনের পানীয় বেশি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পায়। এতে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত কফ জমা হয়।