Diabetes: প্রাকৃতিক উপায়েই বশে থাকবে সুগার! বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই ৪ পানীয়
Diabetes Drink: ডায়াবিটিসের সমস্যায় প্রথমেই রাশ টানতে হবে ডায়েটে। একেবারে কম ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে রোজকার ডায়েটে অবশ্যি রাখবেন এই কয়েকটি পানীয়...
ডায়াবিটিসের (Diabetes) সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়ে ক্রমেই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসিয়েছে ডায়াবিটিস। ছোটরাও যেমন আক্রান্ত হচ্ছে , বড়রাও তাই। আজকাল ২৫ বছর বয়সী তরুণও ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। আর এই রোগটির পিছনে কিন্তু বার বার দায়ী করা হচ্ছে আমাদের জীবনযাত্রাকেই (Lifestyle Problem)। অতিরিক্ত পরিমাণ ফাস্ট ফুড, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না হওয়া, দিনের পর দিন মানসিক চাপ বৃদ্ধিই এর অন্যতম কারণ। টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যাই এখন সবথেকে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, ভারতে বর্তমানে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১,৭০৫,০০০। ২০৩০ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৯,৪৪১,০০০-তে। সব সময় হাই-ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে কিন্তু ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরও অনেকটাই। যে কারণে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে ( Diabetes Control) রাখতে হলে রোজকারের জীবনযাত্রায় আনতে হবে বদল।
সঠিক খাবার খেতে হবে, ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে এবং সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও কিন্তু ভীষণ জরুরি। তবে প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। ডায়াবিটিসের ওষুধ কিন্তু কখনই নিজে থেকে যেমন খাবেন না, তেমনই কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে বন্ধও করে দেবেন না। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, এই কয়েকটি পানীয় যদি রাখতে পারেন রোজকারের ডায়েটে, তাহলে শরীর থাকবে সুস্থ। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
করলা জুস- রক্তে শর্করার মাত্রা রুখতে খুবই উপকারী হল করলা। গরম ভাতের সঙ্গে একটা গোটা করলা সিদ্ধ রোজ খেতে পারলে খুবই ভাল। এছাড়াও খালি পেটে খেতে পারেন করলার জুস। করলার জুস যেমন রক্ত শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমনই শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। করলার রসে চারেন্টিন নামের একটি উপাদান রয়েছে। যা গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে উপকার পাবে।
মেথির জল- রেজ এক গ্লাস করে মেথি ভেজানো জল খেলেও কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। ইষদুষ্ণ দরম জলে ১০ গ্রাম মেথি ভিজিয়ে দিন রাত্রে। পরদিন সকালে ওই জল ছেঁকে খেয়ে নিন। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য কিন্তু মেথির জল খুবই কার্যকরী। সেই সঙ্গে মেথির মধ্যে রয়েছে ফাইবার। যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট ও চিনির শোষণকেও কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে নিয়মিত মেথি খেলে খিদে কমে যায়।
বার্লি ওয়াটার- পেটের বা হজমের সমস্যায় বেশ ভাল কাজ করে বার্লি। আর তাই ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও খুব ভাল এই উপাদান। বার্লি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও বার্লির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা অনেক রোগ দূর করে দেয়।
গ্রিন টি- গ্রিন-টি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও গ্রিন টি আমাদের বিপাকে সাহায্য করে। যে কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে ওজনও কিন্তু কমে। আর তাই রোজ দু কাপ করে গ্রিন টি খান। তবে এই চা-তে কোনও ভাবেই মিষ্টি দেবেন না।