Healthy Breakfast: ব্রেকফাস্ট হোক হেলদি! ওটস দিয়ে তৈরি করে নিন শেফ ‘স্পেশ্যাল’ ধোসা
Dosa Recipe: কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে কিংবা ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে ব্রেকফাস্টে অনায়াসে খেতে পারেন এই ধোসা।
সকালের ব্রেকফাস্টে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। অনেকেই সকালের খাবার এড়িয়ে যান, এমন ভুল কাজ আপনি করবেন না। এতে ধীর হয়ে যায় হজম প্রক্রিয়া। যা পরবর্তী সময়ে বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো নানা সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। আবার অনেকেই ব্রেকফাস্টে এমন খাবার খান, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। আবার অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওটস, ডালিয়া খেয়ে বিরক্ত। সব মিলিয়ে আমরা আপনাদের জন্য এনেছি একটি দারুন ধোসার রেসিপি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের সব অঞ্চলে এই দক্ষিণী খাবার বেশ জনপ্রিয়। যারা নিরামিষ খাবার খেতে ভালবাসেন তাদের জন্য আদর্শ এই খাবার। কিন্তু সাধারণত এই খাবার চাল ও ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং ওজনকে বশে রাখতে চান তাহলে ট্রাই করুন মাস্টার্সশেফ কৃতিকা ভৌতিকার রেসিপি। ওটস, কিনোয়া দিয়ে তৈরি করুন সুস্বাদু ধোসা। যেহেতু এই ধোসায় কিনোয়া এবং ওটস রয়েছে তাই এটি স্বাস্থ্যকর। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে কিংবা ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে ব্রেকফাস্টে অনায়াসে খেতে পারেন এই ধোসা। তাই চলুন দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক ফাইবার-সমৃদ্ধ ধোসার রেসিপি।
হেলদি ধোসা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১ কাপ কিনোয়া, ১ কাপ ওটস, ১ কাপ ছোলার ডাল, ১ চামচ মুগ ডাল, নুন স্বাদ অনুযায়ী আর পরিমাণ মতো জল।
যেভাবে তৈরি করবেন হেলদি ধোসা:
আগের দিন রাত থেকে কিনোয়া আর ওটসটা জলে ভিজিয়ে রাখুন। ছোলার ডাল আর মুগ ডালটাও ভিজিয়ে রাখুন একসঙ্গে। অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রাখা পর এই মিশ্রণটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে দিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। মসৃণ পেস্ট না হওয়া অবধি মিশ্রণটি ব্লেন্ড করবেন। ধোসা ব্যাটার যেমন হয় সেই রকম রাখুন মিশ্রণটা। এর পর এতে মিশিয়ে দিন স্বাদ অনুযায়ী নুন। ব্যস তৈরি আপনার ধোসার ব্যাটার।
View this post on Instagram
এবার একটি ফ্রাই প্যান গরম করুন। উপর দিয়ে সামান্য জলের ছিটে দিয়ে দিন। এর পর এতে ধোসার ব্যাটারটা গোল করে ছড়িয়ে দিন। উভয় দিক ভাল করে ভেজে নিন। ব্যস তৈরি আপনার হেলদি ধোসা। চাটনি ও সাম্বারের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ধোসা।