Peanut Butter: অতিরিক্ত পিনাট বাটারও কিন্তু শরীরের জন্য ভাল নয়, যা বলছে বিজ্ঞান

Side Effects Of Peanut Butter: পিনাট বাটার শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলেই তা ডেকে আনে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। রোজ ১-২ চামচের বেশি কোনও ভাবেই খাবেন না

Peanut Butter: অতিরিক্ত পিনাট বাটারও কিন্তু শরীরের জন্য ভাল নয়, যা বলছে বিজ্ঞান
অতিরিক্ত পিনাট বাটারও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2022 | 3:21 AM

মাখনের পরিবর্তে অনেকেই এখন রেজকার জায়েটে রাখেন পিনাট বাটার। পিনাট বাটার সহযোগে মুজলি কিন্তু খুবই জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট। এছাড়াও অনেকে স্মুদির সঙ্গেও কিন্তু মিশিয়ে দেন এই পিনাট বাটার। বিস্কুট বা পাঁউরুটি দিয়ে খেতে কিন্তু বেশ লাগে পিনাট বাটার। আবার পিনাট বাটার দিয়ে অনেক সময় স্যান্ডউইচও বানানো হয়। বিশেষজ্ঞরাও কিন্তু বলেন মাখনের পরিবর্তে পিনাট বাটার খেতে। কারণ তা অনেক বেশি শ্বাস্থ্যকর। কিন্তু কোনও কিছুরই অতিরিক্ত ভাল নয়। তেমন পিনাট বাটারও। পিনাট বাটার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে চাপ পড়ে আমাদের শরীর আর পাচনতন্ত্রের উপরে। আর যেখান থেকে কিন্তু আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিও।

পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন ১-২ চামচ পর্যন্ত পিনাট বাটার ঠিক আছে। কিন্তু পরিমাণটা যদি তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় তাহলেই কিন্তু মুশকিল হয়। সেই সঙ্গে কেনার আগে পিনাট বাটারের কন্টেনারের পিছনের লেবেলটি দেখে নিতে ভুলবেন না। এই বাটার জৈব পদ্ধতিতে তৈরি কিনা তা জানা কিন্তু খুবই গুরুত্বের। এই চিনেবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট আর কিছুমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু খুবই ভাল। আর তাই রোজকার ব্রেকফাস্টে কিন্তু রাখতেই পারেন এই চিনাবাদাম। আবার চিনাবাদাম অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিন্তু সেখান থেকে অ্যালার্জির সমস্যাও আসতে পারে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই চিনাবাদামের সঙ্গে মেশানো হয় বিভিন্ন পরিমাণে প্রিজারভেটিভ। যা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। সেই সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগের প্রকোপও বাড়ে।

শরীরের জন্য ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই দুই উপাদান কিন্তু বাদামের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু পিনাট বাটার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে তখন ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আর সেখান থেকে শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিডের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আবার বাদামের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও অত্যন্ত বেশি। যা আমাদের বিপাক ক্রিয়া কমিয়ে দেয়। যেখান থেকে ওজন বেড়ে যায় আর সেই বাড়তি ওজন কিন্তু কমানো খুবই মুশকিলের।

আবার অনেক কেম্পানিই আছে যারা পিনাট বাটার তৈরি করতে হাইড্রোজেনেটেড তেল ব্যবহার করে। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই কিন্তু বেশ কিছু দেশে পিনাট বাটার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। হাইড্রোজেনেটেড তেল অনেক প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়। আর যে কারণে তা শরীরের জন্য এত বেশি ক্ষতিকারক। এতে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণও থাকে বেশি। এছাড়াও অনেকে এই পিনাট বাটারের সঙ্গে তারির সময়েই চিনি মিশিয়ে দেন। যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়।