Tea Day 2021: তুলসী-গুড় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, চা দিবসে ‘চিয়ার্স’ করুন এই চা রেসিপি দিয়ে!
সুস্বাদু তুলসী চা, গুড়ের চা বা ডিটক্স চা, এই চায়ের রেসিপিগুলি দিয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করা যায়। শীতকালে নানান রোগের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে চায়ের গুণাবলী রয়েছে হাজারো। আর সেই রেসিপিগুলি কী কী , দেখে নেওয়া যাক একঝলকে....
২০১৯ সালের ২১ মে, জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল। চায়ের সঠিক উত্পাদন ও ব্যবহারের পক্ষে কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রচার ও উত্সাহিত করা , ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসের মূল লক্ষ্য। তবে ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, নয়াদিল্লিতে প্রথম আন্তজার্তিক চা দিবস পালিত হয়। সেই থেকেই ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, কেনিয়া, মালাউই, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং তানজানিয়ার মতো দেশগুলিতেও আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে আসছে।
শীতকালে চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা একটু বেড়ে যায়। আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোম্যান্টিক মুহূর্তগুলি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে। সঙ্গে বাঙালির আবার সঙ্গীত- আবহ না হলে আসর জমে না। চায়ের প্রতি শৌখিন ও দুর্বলতা বাঙালির মতোন আর কেউ হোন না। তবে কেউ কেউ শুধু সাধারণ চায়ের প্রতিই আকৃষ্ট হোন না, সারা বিশ্বে চায়ের স্বাদ গ্রহণের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। তবে এই মরসুমে শরীরের সঙ্গে চায়ের যে আত্মার সম্পর্ক,তা বলাই বাহুল্য।
সুস্বাদু তুলসী চা, গুড়ের চা বা ডিটক্স চা, এই চায়ের রেসিপিগুলি দিয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করা যায়। শীতকালে নানান রোগের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে চায়ের গুণাবলী রয়েছে হাজারো। আর সেই রেসিপিগুলি কী কী , দেখে নেওয়া যাক একঝলকে….
তুলসী চা
উপকরণ- ৮-৯টি তুলসী পাতা, ২টুকরো আদা, ১ গ্লাস দুধ
কীভাবে করবেন- একটি পাত্রের মধ্যে সামান্য পরিমাণ জল নিয়ে গরম করুন। তাতে তুলসীর পাতাগুলি ছিঁড়ে ওই গরম জলে ফোটাতে দিন। এরপর আদার টুকরোগুলি দিয়ে দিন। অল্প নেড়ে জল ফুটতে দিন। পাত্রের জল ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে তাতে এক গ্লাস দুধ ঢেলে আরও পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। চা তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম সার্ভ করুন।
উপকারিতা- তুলসীকে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে পবিত্র তুলসী, “জীবনের অমৃত” এবং “ভেষজ রাণী” নামেও পরিচিত। বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রোগ ও অসুস্থতার উপসর্গ নিরাময়ের জন্য তুলসীর পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট। যার কারণ হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, ঠান্ডা, কনজেশন, কাশি, ফ্লু, সাইনোসাইটিস, গলা ব্যথা এবং অনুরূপ অসুস্থতার লক্ষণগুলি উপশম করতে পারে।
গুড়ের চা
উপকরণ- আধ চা চামচ জিরে, ৫-৬টি গোলমরিচ, ১৫-২০ গ্রাম গুড়, ২-৩ কাপ জল
পদ্ধতি
একটি পাত্রে ২-৩ কাপ জলেতে জিরে ও কালো গোলমরিচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি জলের মধ্যে গুলে গেল পাত্রটি আভেন থেকে নামিয়ে তাতে গুড় দিন। কিছুক্ষণের জন্য নেড়ে ফুটিয়ে নিন। হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।
উপকারিতা
শীতকালে ফ্লুয়ের জন্য গুড়ে চা অত্যন্ত সহজ উপাদান। সাধারণ সর্দি ও কাশির সমস্যাকে হঠাতে গুড় একটি জনপ্রিয় উপাদান। এতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে , শরীরকে গরম রাখতে, সর্দি-কাশি নিরাময় করতে ও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।