Weight Loss Food: সকাল থেকে রাতপর্যন্ত এই খাবারেই গলবে নাছোড়বান্দা পেটের চর্বি
How to Lose Belly Fat: ওটসের মধ্যে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকায় মেটাবলিজমও বাড়ে। ওজন কমানোর জন্য মেটাবলিজম ঠিক রাখা খুবই জরুরি। মেটাবলিজম যত ভাল হবে তত দ্রুত চর্বি পুড়বে
আজকাল আমাদের যে জীবনযাত্রা তাতে অধিকাংশই ভুগছেন ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায়। অধিকাংশেরই একটানা বসে কাজ। কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রম নেই। বাড়ির খাওয়ারের পরিবর্তে বাইরে থেকে কেনা খাবারেই কামড় বেশি পড়ে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া হয়। যে পরিমাণ খাবার খাওয়া হয় তার কোনওটাই খরচ হয় না। দিনের পর দিন সেই চর্বি জমতে থাকে শরীরে। এবার ওজন কমানোর জন্য কী খাওয়া উচিত আর কী নয় এই নিয়ে অধিকাংশেরই সঠিক কোনও ধারণা থাকে না। ফলে অনেকেই একটানা বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকে। এতে কোনও কাজের কাজ হয় না উল্টে চর্বি বেশি জমে। শরীর কমাতে ব্যায়াম করতেই হবে সেই সঙ্গে প্রয়োজন ডায়েটেরও।
আর তাই রইল বিশেষ টিপস। এই নিয়ম মেনে খাবার খেলে ওজন কমে আর শরীরও থাকবে ফিট। ওজন ঝরাতে খুবই কার্যকরী হল ওটস। আর তাই ব্রেকফাস্টে নিয়ম করে ওটস রাখুন। সমীক্ষা অনুসারে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে এই খাবারটির জুড়ি মেলা ভার। আর পেট ভরা থাকলে উল্টো-পাল্টা খাবার খেতে কোনও রকম ইচ্ছে করবে না। ফলে পরিমাণে খাবার খাওয়া হবে। ক্যালোরি গ্রহণও কমবে।
ওটসের মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন, থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। ফলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে পেশীর গঠনও করে। আর শরীর থাকে ফিট। ওটসের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে। আর ফাইবারও থাকে। যে কারণে অন্ত্র সুস্থ থাকে। আর এই স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট থাকায় শরীরও তার প্রয়োজনীয় শক্তি পায়। ওজন কমলেও কোনও রকম ক্লান্তি ভাব আসে না।
ওটসের মধ্যে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকায় মেটাবলিজমও বাড়ে। ওজন কমানোর জন্য মেটাবলিজম ঠিক রাখা খুবই জরুরি। মেটাবলিজম যত ভাল হবে তত দ্রুত চর্বি পুড়বে।
সারাদিন তবে ওটস খেলেই ওজন কমবে না। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় খাবার খেতে হবে। আগের রাতে দুধে ওটস ভিজিয়ে ওর সঙ্গে আম, খেজুর, বেদানাস কলা আর বিভিন্ন বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন। ওটস, ডাল দিয়ে খিচুড়ি বানিয়েও খাওয়া যায়। ওজন কমাতে সময় মেপে খেতে হবে। প্রতি ২ ঘন্টা অন্ত খাবার খান। সন্ধ্যে ৬ টার পর খাবার না খেলেই ভাল। দিনের শেষ খাওয়া সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে সারুন।