salt and sugar levels: অতিরিক্ত চিনি কিংবা নুন দেওয়া খাবার ভুলেও রাতে খাবেন না! কেন জানেন?
নুন আর চিনি ছাড়া যেমন খাবারের স্বাদ খোলে না তেমনই এই নুন আর চিনি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যেও একেবারে ভাল নয়। বিশেষত রাতে নুন-চিনি দেওয়া খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়। ডিনারে সব সময় চেষ্টা করুন স্যুপ জায়ীয় খাবার খেতে
যে কোনও খাবার তা যেমনই হোক না কেন তাতে যদি নুন আর চিনি না পড়ে তাহলে কিন্তু খাবারের স্বাদ খোলে না। যিনি এই নুন আর চিনির স্বাদের মধ্যে সুন্দর সমতা বজায় রাখতে পারেন তাঁকেই বলা হয় পাকা রাঁধুনি। শরীরের জন্য নুন আর চিনি এই দুই হল আদতে বিষের সমান। একচুল এদিক থেকে ওদিক হলেই দেখা দেয় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। চিনি বেশি খেলেই বাড়বে সুগারের সমস্যা। তেমনই নুন বেশি খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে বার্ধক্য আসে তাড়াতাড়ি। এছাড়াও দেখা দেয় কিডনির সমস্যা।
এদিকে পছন্দের সব খাবারেই চিনি-নুন ভর্তি। চিপস, পাস্তা, বার্গার, কোল্ডড্রিংক, মিষ্টি দই, পাঁঠার মাংস, আলুর দাম- সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। আবার অনেকেই আছেন যাঁরা ভাতের পাশে একটু নুন না থাকলে খেতেই পারেন না। তেমনই চিনি ছাড়া চা খাওয়ার কথাও অনেকে ভাবতে পারেন না। এবার সোডিয়াম- শর্করার ভারসাম্যে সমস্যা হলে শরীর খারাপ হবেই। রোজকার এই আচার, পাঁপড়, চিপস, চাটনির মধ্যেও কিন্তু লুকনো থাকে অতিরিক্ত পরিমান নুন-চিনি। ভারতীয়রা দিনে গড়ে ২০ গ্রামের বেশি সোডিয়াম খান। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ আমাদের শরীরের জন্য ৫ গ্রামের বেশি সোডিয়াম প্রয়োজন হয় না। তেমনই গড়ে ৩২ গ্রাম চিনি খান বেশিরভাগই। যা প্রয়োজনীয় ক্যালোরির তুলনায় অনেকটাই বেশি।
কেন রাতে অতিরিক্ত নুন দেওয়া কোনও খাবার খাবেন না?
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু সবসময় কাঁচা নুন এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কারণ কাঁচা নুন থেকেই আসে নানা শারীরির সমস্যা। আসে কিডনির মতো জটিল সমস্যাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি নুন কিছুতেই খাবেন না। তবে ২ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাহিদা মতো নুন খেতে হবে। কারণ নুনে থাকে আয়োডিন। যা শিশুদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাংসপেশির ক্ষমতা বাড়ায়। রাতে যদি বেশি মশলাদার খাবার খাওয়া হয় তখন তা হজম করতেও বেশি সময় লাগে। এদিকে রাতে বিপাকের হারও কমে যায়। তখন অতিরিক্ত সোডিয়াম জমে যায় শরীরে। যার থেকে আসতে পারে হার্টের সমস্যা। সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যা, এমনকী ক্যানসারের প্রবণতাও বাড়িয়ে দেন নুন।
অনেক বাড়িতেই অভ্যাস আছে, রাতের খাবার খেয়ে মিষ্টিমুখ করার। নইলে তাদের ঘুম আসে না। এই অভ্যাস কিন্তু ভীষণ ভাবে খারাপ। এতে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যায়। আর রাতে পরিশ্রম হয় না বলে পুরো ক্যালোরিই জমে যায় শরীরে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ইনসুলিন মিশে যায় রক্তে। ডায়াবিটিস ছাড়াও আস্ে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করে না। হাইপার টেনশনের মত সমস্যাও বাড়ে। ওজন বাড়ে। সেই সঙ্গে মেয়েদের মধ্যে বাড়ে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। যে কারণে সকলের উচিত রাত ৮.৩০ এর মধ্যে ডিনার সেরে ফেলা এবং যত সম্ভব হালকা খাবার খাওয়া।
আরও পড়ুন: Food: কেবল টোটকা নয়, খাবারেও আসতে পারে সৌভাগ্য! জানতেন?