Skin Care Routine: ত্বকের উজ্জ্বল ভাব হচ্ছে ফিকে? এই সহজ রুটিন মানলেই জেল্লা ঠিকরে বেরবে
How to get bright skin: বাজারে নানা ধরনের পণ্য থাকলেও, একটি ধারাবাহিক এবং সহজ রুটিনই আপনার ত্বককে সুন্দর করে তুলতে পারবে। এখানে এমন একটি রুটিন দেওয়া হল যা আপনি প্রতিদিন মেনে চললে ত্বকের জেল্লা (Skin Care) ঠিকরে বেরবে।

আমাদের ব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য সময় বের করা অনেকের জন্য বেশ কঠিন। কিন্তু যদি আপনি চান আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত থাকুক, তাহলে একটি সঠিক রুটিন মেনে চলা খুবই জরুরি। বাজারে নানা ধরনের পণ্য থাকলেও, একটি ধারাবাহিক এবং সহজ রুটিনই আপনার ত্বককে সুন্দর করে তুলতে পারবে। এখানে এমন একটি রুটিন দেওয়া হল যা আপনি প্রতিদিন মেনে চললে ত্বকের জেল্লা (Skin Care) ঠিকরে বেরবে।
সকালের রুটিন
সকাল থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করা উচিত। যা আপনার ত্বককে সারাদিনের জন্য প্রস্তুত করে দেবে। তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি উপায়।
১. ক্লিনজিং: ঘুম থেকে উঠে প্রথমে একটি মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এর ফলে রাতে জমে থাকা তেল, ধুলো এবং মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বেছে নিন।
২. টোনিং: মুখ পরিষ্কার করার পর একটি ভালো টোনার ব্যবহার করুন। টোনার ত্বকের পি.এইচ. ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং লোমকূপ সঙ্কুচিত করে।
৩. সিরাম: এরপর নিজের ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- ভিটামিন সি সিরাম। যা ত্বকের উজ্জ্বল ভাব বাড়াতে এবং দাগ কমাতে খুবই কার্যকর।
৪. ময়েশ্চারাইজিং: ত্বককে সবসময় আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যা ত্বককে নরম এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
৫. সানস্ক্রিন: সকালের রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। বাইরে বেরনোর ১৫-২০ মিনিট আগে এস.পি.এফ (SPF) ৩০ বা তার বেশি মানের সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যা ত্বকের অকাল বার্ধক্য এবং পিগমেন্টেশন রোধ করে।
রাতের রুটিন
দিনের শেষে ত্বকের ক্লান্তি দূর করা এবং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য রাতের রুটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি উপায়।
১. ডাবল ক্লিনজিং: যদি আপনি মেকআপ ব্যবহার করেন, তাহলে প্রথমে একটি তেল-ভিত্তিক ক্লিনজার বা মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। এরপর একটি জল-ভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ আবার পরিষ্কার করতে হবে। একেই ডাবল ক্লিনজিং বলা হয়। যা ত্বক থেকে সবরকম ময়লা সম্পূর্ণভাবে দূর করে দেবে।
২. এক্সফোলিয়েশন: সপ্তাহে ১-২ দিন একটি মৃদু এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষের জন্ম নিতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন করবেন না, কারণ এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
৩. সিরাম/ট্রিটমেন্ট: রাতে রেটিনল (Retinol) বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (Hyaluronic acid)-এর মতো সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। রেটিনল ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্রতা দেয়।
৪. ময়েশ্চারাইজিং: রাতে একটি ঘন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যা ঘুমের সময় ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত টিপস:-
- জল পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর একটি অন্যতম উপায়। যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
- স্বাস্থ্যকর খাবার: নিজের খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, শাক-সবজি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করতে হবে। এটি আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- স্ট্রেস কমান: স্ট্রেস ত্বকের অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। যোগা, মেডিটেশন বা অন্যান্য শখের মাধ্যমে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।
এই রুটিনটি নিয়মিত অনুসরণ করলে যে কারও ত্বকে পরিবর্তন দেখা যাবে। মনে রাখবেন, ধারাবাহিকতাই সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বকের মূল চাবিকাঠি।
