Skin Care: ডাস্টবিনে নয়, সবজির খোসা রাখুন বিউটি কিটে! ত্বকের যত্নের গোপন রহস্য ট্রাই করুন আজই
ত্বকের যত্নে আমরা নানা রকম কসমেটিক্স ব্যবহার করি, কত দামি প্রোডাক্ট কিনি। অথচ রান্নাঘরের কোণেই পড়ে থাকে একগুচ্ছ গুপ্তধন। অবাক লাগতে পারে এ কথা শুনে। কারণ এই গুপ্তধন সবজির খোসা!

ত্বকের যত্নে আমরা নানা রকম কসমেটিক্স ব্যবহার করি, কত দামি প্রোডাক্ট কিনি। অথচ রান্নাঘরের কোণেই পড়ে থাকে একগুচ্ছ গুপ্তধন। অবাক লাগতে পারে এ কথা শুনে। কারণ এই গুপ্তধন সবজির খোসা! যেগুলো আমরা সাধারণত ফেলে দিই। সেই খোসাই আসলে ত্বককে দিতে পারে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা, আর্দ্রতা আর নিখুঁত যত্ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ত্বকের যত্নে (Skin Care) কাজ করে সবজির খোসা।
শসার খোসা – ত্বক রাখে ঠান্ডা আর দেয় হাইড্রেশনের ছোঁয়া
শসার খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণে জল আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফ্রিজে রেখে দেওয়া শসার খোসা মুখে ঘষে নিলেই মিলবে ইনস্ট্যান্ট কুলিং এফেক্ট। ক্লান্ত, রোদে পোড়া ত্বক মুহূর্তে হয়ে উঠবে ফ্রেশ।
আলুর খোসা – দাগছোপ হালকা করতে কার্যকর
আলুর খোসায় আছে ন্যাচারাল ব্লিচিং প্রপার্টি। নিয়মিত আলুর খোসা মুখে ঘষে নিলে বা তার পেস্ট লাগালে ত্বকের কালচে দাগ, পিগমেন্টেশন ও ট্যান ধীরে ধীরে কমে আসে।
গাজরের খোসা – অ্যান্টি-এজিং এর প্রাকৃতিক টনিক
গাজরের খোসায় থাকে বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ, যা ত্বককে দেয় অ্যান্টি-এজিং কেয়ার। বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ভিতর থেকে করে তোলে টানটান ও স্বাস্থ্যকর।
কুমড়োর খোসা – ত্বককে করে মসৃণ
কুমড়োর খোসায় থাকে জিঙ্ক ও এনজাইম, যা মৃত কোষ সারাতে সাহায্য করে। এর পেস্ট ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক হয় আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল।
লাউয়ের খোসা – ব্রণর যত্নে প্রাকৃতিক সমাধান
লাউয়ের খোসায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ আছে। নিয়মিত মুখে লাগালে ব্রণর প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে রাখে শান্ত ও পরিষ্কার।
মাথায় রাখতে হবে: যে কোনও সবজির খোসা ব্যবহারের আগে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। আর খোসা তাজা থাকা অবস্থায় ব্যবহার করুন। চাইলে ফেসপ্যাক আকারেও মিশিয়ে নিতে পারেন।
সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে পারলে রান্নাঘরের এই ‘ফেলে দেওয়া’ খোসাগুলোই হতে পারে আপনার বিউটি সিক্রেট!
