AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Body Hair: অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে বিরক্ত? পুজোর আগে পাকাপাকি ভাবে কীভাবে তাকে বিদায় জানাবেন?

মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মুখ, হাত-পা, আন্ডারআর্ম বা শরীরের অন্যান্য অংশে বেশি লোম থাকলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে তাকে কমানোর বা নিয়ন্ত্রণ করার নানা ঘরোয়া ও আধুনিক উপায় রয়েছে। রইল তেমন ৮ টিপস।

Body Hair: অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে বিরক্ত? পুজোর আগে পাকাপাকি ভাবে কীভাবে তাকে বিদায় জানাবেন?
| Updated on: Sep 22, 2025 | 6:19 PM
Share

শরীরের অবাঞ্ছিত লোম অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। অনেক সময় আমাদের আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয় এই অবাঞ্ছিত লোম। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মুখ, হাত-পা, আন্ডারআর্ম বা শরীরের অন্যান্য অংশে বেশি লোম থাকলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে তাকে কমানোর বা নিয়ন্ত্রণ করার নানা ঘরোয়া ও আধুনিক উপায় রয়েছে। রইল তেমন ৮ টিপস।

১। লেজার হেয়ার রিমুভাল – আজকের দিনে লেজার চিকিৎসা অবাঞ্ছিত লোম কমানোর সবচেয়ে আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি। এতে লোমের গোড়ায় লেজারের আলো ফেলা হয়, যা ফলিকল দুর্বল করে নতুন লোম গজানো প্রায় বন্ধ করে দেয়। কয়েক সেশনের পর স্থায়ীভাবে লোমের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়।

২। ওয়াক্সিং – ওয়াক্সিং একটি বহুল প্রচলিত উপায়। এতে গরম বা ঠান্ডা ওয়াক্স দিয়ে লোম উপড়ে ফেলা হয়। এর ফলে একবার লোম ওঠার পর অন্তত ৩–৪ সপ্তাহ লোম গজায় না। নিয়মিত ওয়াক্স করলে লোম পাতলা হতে শুরু করে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য একটু কষ্টকর হতে পারে।

৩। শেভিং – শেভিং দ্রুত ও সহজ উপায়, বিশেষ করে হাতে-কালেও ব্যবহার করা যায়। এতে লোম কেটে ফেলা হয়, গোড়া থেকে নয়। তাই কয়েক দিনের মধ্যে আবার লোম গজায়। সুবিধা হলো ব্যথাহীন, কিন্তু অসুবিধা হলো ঘন ঘন শেভ করলে লোম মোটা মনে হতে পারে।

৪। ডিপিলেটরি ক্রিম – বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ত্বকের উপরিভাগের লোম গলিয়ে দেয়। এগুলো ব্যবহার সহজ হলেও নিয়মিত ব্যবহার করলে কখনো কখনো ত্বকে অ্যালার্জি বা র‍্যাশ হতে পারে। তাই আগে প্যাচ টেস্ট করা জরুরি।

৫। ইলেক্ট্রোলাইসিস – এটি একটি স্থায়ী সমাধান। এতে প্রতিটি লোমের ফলিকলে সূক্ষ্ম সুই ঢুকিয়ে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রয়োগ করা হয়। এতে ফলিকল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে আর লোম গজায় না। তবে সময়সাপেক্ষ এবং কিছুটা ব্যয়বহুল।

৬। হলুদ ও বেসনের প্যাক – প্রাচীনকাল থেকে হলুদ ও বেসন ব্যবহার করা হয় শরীরের লোমের ঘনত্ব কমাতে। বেসন, হলুদ ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে শরীরে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে লোমের বৃদ্ধি কমে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।

৭। চিনি-লেবুর স্ক্রাব – চিনি ও লেবুর মিশ্রণ হালকা ওয়াক্সের মতো কাজ করে। এটি লোমকে দুর্বল করে এবং ধীরে ধীরে গজানো কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে ১–২ বার ব্যবহার করলে লোম পাতলা হতে থাকে।

৮। ডায়েট ও হরমোন নিয়ন্ত্রণ – অনেক সময় শরীরে অতিরিক্ত লোমের সমস্যা হরমোনজনিত। যেমন পিসিওডি (PCOD) বা থাইরয়েডের কারণে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, হরমোন ব্যালান্স বজায় রাখা এবং ডাক্তারি পরামর্শে ওষুধ খেলে সমস্যার মূল নিয়ন্ত্রণে আসে, ফলে লোমের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।

শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কমানোর নানা উপায় থাকলেও কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্ভর করে ত্বকের ধরণ, বাজেট এবং প্রয়োজনের উপর। দ্রুত সমাধান চাইলে ওয়াক্সিং বা শেভিং, দীর্ঘমেয়াদি ফল চাইলে লেজার বা ইলেক্ট্রোলাইসিস, আর প্রাকৃতিকভাবে চাইলে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।