AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Brain Power: আইনস্টাইনের মতো ছুটবে আপনার মস্তিষ্ক, টোটকা দিলেন বাবা রামদেব

Baba Ramdev: কীভাবে বাড়াবেন নিজের স্মৃতিশক্তি? কোন নিয়মে উর্বর হবে মস্তিষ্ক? বাবা রামদেবের মতে প্রতিদিন সামান্য সময় যোগ ও প্রাণায়াম করলে এবং খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে সচেতন হলে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।

Brain Power: আইনস্টাইনের মতো ছুটবে আপনার মস্তিষ্ক, টোটকা দিলেন বাবা রামদেব
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2025 | 7:03 PM
Share

অনেক শিশুর বাবা-মায়ের একটা সাধারণ অভিযোগ হল আমার সন্তান কিছুই মনে রাখতে পারে না। জীবনে সফল হতে গেলে শক্তিশালী স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারই সঙ্গে প্রয়োজন যে কোনও কাজের প্রতি মনোযোগ। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, পড়াশোনা হোক বা অফিসের কাজ, এই সমস্যা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। সেই সমস্যা সমাধানের উপায়ে বাতলে দিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। কীভাবে বাড়াবেন নিজের স্মৃতিশক্তি? কোন নিয়মে উর্বর হবে মস্তিষ্ক? বাবা রামদেবের মতে প্রতিদিন সামান্য সময় যোগ ও প্রাণায়াম করলে এবং খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে সচেতন হলে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।

যোগাসন মস্তিষ্ককের উর্বরতা বৃদ্ধি করে –

যোগে এমন কিছু আসন আছে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। স্বামী রামদেব বিশেষভাবে কান ধরে উঠবস করার পরামর্শ দেন। এই ব্যায়াম দেখতে সহজ হলেও মস্তিষ্কে শক্তি জোগানোর জন্য দারুণ উপকারী। এটি শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। আবার প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক ক্লান্তি থেকেও মুক্তি দেয়।

সূর্যনমস্কার রক্তসঞ্চালন বাড়ায় –

রামদেবের মতে, সূর্যনমস্কার একটি অত্যন্ত উপকারী যোগাভ্যাস। প্রতিদিন কয়েক চক্কর সূর্যনমস্কার করলে পুরো শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয় এবং মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পৌঁছায়। ফলে মস্তিষ্ক সতেজ ও সক্রিয় থাকে। এর পাশাপাশি দণ্ড-বৈঠক বা পুশ-আপের মতো ব্যায়ামও শরীর ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

প্রাণায়াম স্মৃতিশক্তি বাড়ায় –

প্রাণায়াম বা শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে জরুরি বলে ধরা হয়। গভীর শ্বাস নেওয়া, কপালভাতি, অনুলোম-বিলোম ইত্যাদি প্রাণায়াম শুধু মানসিক চাপ কমায় না, মানসিক শান্তিও দেয়। যখন মস্তিষ্ক শান্ত থাকে তখন স্বাভাবিকভাবেই মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।

খাদ্যাভ্যাসে শুদ্ধতা অপরিহার্য –

যোগ ও প্রাণায়ামের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি খাদ্যে পুষ্টি না থাকে তবে মস্তিষ্ক তার পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারে না। রামদেবের মতে, প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই তাজা ফল ও শাকসবজি রাখতে হবে। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পায়, যা মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী।

অতিরিক্ত ভাজা-ভুজি, মিষ্টি ও জাঙ্ক ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো শরীর ও মস্তিষ্ক দুটোই ভারী ও অলস করে তোলে। একইসঙ্গে শরীরে জলের ঘাটতিও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, তাই সারাদিন পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি।

নিয়মিত অনুশীলনই মূল চাবিকাঠি –

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, যোগ ও প্রাণায়ামের ফল তখনই পাওয়া যায় যখন এগুলো নিয়মিত করা হয়। প্রতিদিন কয়েক মিনিট সময় দিলেও ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে সচেষ্ট হতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া আবশ্যক। কারণ চাপ ও ঘুমের অভাব সরাসরি মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয়।