Inner Thoughts Express Tips: অনুভূতি প্রকাশ করতে দ্বিধা হয়? এই টিপস মেনে চললেই কেল্লাফতে!
Inner Thoughts Express: আমি পারবই- যে কোনও কাজের বিষয়ে নিজেকে এই কথাটা বলুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। তাহলেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং হীনমন্যতা কাটবে। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ছোট বয়স থেকেই শিশুকে তৈরি করা উচিত। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা থাকে অভিভাবকের। এছাড়া সহপাঠী বা বন্ধুদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ঠিকমতো নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। সহপাঠী হোক বা সহকর্মী- কারও সঙ্গেই খোলাখুলি কথা বলতে পারেন না। এমনকি নিজের অধিকার, প্রয়োজনের কথাও ঠিকমতো বলতে পারেন না। সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এর ফলে অধিকাংশই সময়ই এই স্বভাবের মানুষদের যথেষ্ট মেধা থাকা সত্ত্বেও প্রাপ্য সম্মান মেলে না। এর জন্য হীনমন্যতাতেও ভোগেন তাঁরা। তবে এই ধরনের ঘটনা অতিক্রম করা সম্ভব। কেবল একটু সাহচর্য ও আত্মবিশ্বাস দরকার।
মনোবিশেষজ্ঞদের মতে, মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারা, হীনমন্যতা, সিদ্ধান্তহীনতার মতো আচরণের অন্যতম কারণ আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাই আত্মবিশ্বাস বাড়ানো জরুরি। কীভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন, অনুভূতি প্রকাশ করবেন, তার কয়েকটি সহজ টিপস রইল
আত্মবিশ্বাস বাড়ান- নিজের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারলে এবং আপনার মতকে সে সমর্থন করলে আপনি অনুপ্রেরণা পাবেন। এছাড়া আত্মবিশ্বাস বাড়াতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও বিষয়ে কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। সেই চ্যালেঞ্জে একবার জয় পেলেই আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন- আমি পারবই- যে কোনও কাজের বিষয়ে নিজেকে এই কথাটা বলুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। তাহলেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং হীনমন্যতা কাটবে।
অন্যের ভাবনায় গুরুত্ব নয়- আপনি কিছু বললে সেটা কে কীভাবে নেবে, কী মনে করবে- এসব ভাববেন না। অফিস হোক বা অন্য কোনও স্থান- নিজের মতামত দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করুন। সেই মত কারও পছন্দ না হলেও গুরুত্ব দেবেন না। মনে করবেন, আপনি যেটা মনে করছেন সেটাই বলছেন এবং সেটা ভুল না হলে বা অন্যের ক্ষতি না হলে এবং সর্বোপরি আপনি ভাল থাকলে সেই সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকুন।
নিজেকে সময় দিন- কী ভাবছেন, কাকে কী বলতে চাইছেন, অর্থাৎ নিজের মতামত ভালভাবে প্রকাশ করার জন্য ভালভাবে চিন্তা করুন। নিজেকে সময় দিন। সারা দিনের অন্তত কিছুটা সময় সম্পূর্ণ নিজের সঙ্গে কাটান, নিজের বিষয়ে ভাবুন। যেটা করলে নিজের ভাল লাগবে, সেটা করার বিষয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নিন।
সৃজনাত্মক কাজ- কেউ ছবি আঁকা তো কেউ লেখালেখি, আবার কেউ গান শোনা বা গল্প পড়তে ভালবাসেন। আবার অনেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বা বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে অথবা দুঃস্থদের সাহায্য করতে ভালবাসেন। যেটা ভাল লাগে, যে কাজ করলে আত্মতৃপ্তি হয়, সেটাই করুন। এটা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
সাহচর্য- আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ছোট বয়স থেকেই শিশুকে তৈরি করা উচিত। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা থাকে অভিভাবকের। এছাড়া সহপাঠী বা বন্ধুদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান হোক বা বন্ধু, পাশে থেকে মনের জোর জোগান।