Vastu Shastra: বাড়িতে পায়রা বাসা বেঁধেছে? তা ভাল না খারাপ, জানুন কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র?
Vastu Tips: পায়রা প্রাচীনকাল থেকেই শান্তি, প্রেম এবং ঐক্যের প্রতীক। অনেক ধর্মগ্রন্থে পায়রাকে দেবদূত বা শান্তির বার্তাবাহক বলা হয়েছে। তাই অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে পায়রার আগমন শুভ লক্ষণ বহন করে। তবে আসলে কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র?

বাড়িতে পায়রার বাসা করা শুভ নাকি অশুভ? এ প্রশ্ন বহুদিন ধরেই মানুষের মনে ঘোরে। পুরাণ, শাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রে বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে নানা কথা লেখা আছে। পায়রা প্রাচীনকাল থেকেই শান্তি, প্রেম এবং ঐক্যের প্রতীক। অনেক ধর্মগ্রন্থে পায়রাকে দেবদূত বা শান্তির বার্তাবাহক বলা হয়েছে। তাই অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে পায়রার আগমন শুভ লক্ষণ বহন করে। তবে আসলে কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র?
শুভ দিক
পায়রা সাধারণত শান্ত স্বভাবের পাখি। মনে করা হয় পায়রা যেখানে আশ্রয় নেয়, সেখানে একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি হয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় যদি পায়রা বাসা বাঁধে, তা দীর্ঘ সময় সৌভাগ্যের বার্তা বহন করে। বিশ্বাস করা হয়, পায়রা বাসা করলে বাড়িতে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রেম এবং ঐক্য বজায় থাকে। ঝগড়া-বিবাদ কমে যায় অনেকটাই। পায়রার ডাক ও উপস্থিতি মানসিক প্রশান্তি আনে।
শাস্ত্র মতে পায়রা পবিত্রতার প্রতীক। হিন্দুধর্মে শান্তির দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে পায়রার সম্পর্ক টানা হয়। তাই মনে করা হয়, পায়রা নিজে থেকে আসলে বা বাসা বাঁধলে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয়। বৌদ্ধধর্মেও পায়রাকে মৈত্রী এবং সহমর্মিতার প্রতীক ধরা হয়।
অশুভ দিক
যদিও বাস্তুশাস্ত্র মতে সব সময় পায়রার বাসা বাড়িতে হওয়া মোটে ভাল নয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে, যদি পায়রা ঘরের ভেতর বা জানলার কোণে বাসা বাঁধে, তবে তা বাধা-বিঘ্ন, রোগ-ব্যাধি এবং অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্যের দিক থেকেও তা খুব একটা ভাল কথা নয়। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুসারে, পায়রার পালক ও শুকনো বিষ্ঠা থেকে এক ধরনের ধূলিকণা বাতাসে মিশে যায়। যা ফুসফুসে গিয়ে হিস্টোপ্লাজমোসিস বা বার্ড ফ্যানসিয়ার লাং নামক রোগের কারণ হতে পারে।
বাড়িতে পায়রার বাসা করা একদিকে শুভ, অন্যদিকে কিছু ক্ষেত্রে অশুভও হতে পারে। শুভ এই কারণে যে এটি শান্তি, ঐক্য ও সৌভাগ্যের প্রতীক। অশুভ এই কারণে যে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় এবং ঘরে অস্থিরতা আনতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর। পায়রার প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে এবং নিজের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখে সর্বোত্তম সমাধান বেছে নেওয়াই জ্ঞানীর কাজ।
