শীতকাল আর কমলালেবু এ যেন এক ডেডলি কম্বিনেশন! হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করলেই অনেকের বাড়িতে যে ফল আসে তাতে যোগ হয় কমলালেবু। ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই ফল খেতে খুব ভালো। তবে বাজার থেকে আনা কমলালেবু সব সময় যে মিষ্টি হবে তেমনটা নয়। অনেক সময় টক কমলালেবুও পাওয়া যায়। তা ফেলে না দিয়ে কেক, পেস্ট্রি বা কমলালেবুর জুস বানিয়ে খাওয়া যায়। কমলালেবুর বীজও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আর কমলালেবুর খোসা (Orange Peel)? সেটি কি শরীরের জন্য ভালো?
কমলালেবুর খোসায় প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। ত্বক থেকে শুরু করে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কমলালেবুর খোসা। শীতকালে বাড়িতে কমলালেবু আনা হলে তার খোসা ফেলে না দিয়ে খাওয়া শুরু করতে পারেন। শরীরে নানা উপকার হবে। কমলালেবুর মধ্যে ভিটামিন সি ও নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। কমলালেবুর খোসাতেও তা উপলব্ধ। আর কমলালেবুর খোসাতে যে খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়, সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কমলালেবুর খোসা ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর। এটি খেলে হজম ভালো হয়। চাপ কমে। চিন্তা কমে। মুড ভালো হয়। হ্যাংওভার কাটে। ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয়।
কমলালেবুর খোসায় কী কী রয়েছে? ফাইবার, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসায় পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এ ছাড়া অ্যান্টি-ক্যান্সারিয়াস উপাদানও রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে লাইমোনেনের মতো রাসায়নিক যৌগ। এই উপাদানগুলো ক্যানসার বিরোধী। ফলে কমলালেবুর খোসা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে।
এ বার প্রশ্ন হল, কমলালেবুর খোসা কীভাবে খাবেন? এটি সরাসরি খাওয়া শরীরের পক্ষে একেবারেই সুরক্ষিত নয়। এ ছাড়া কমলালেবুর খোসা স্বাদে তেঁতো। তাই এটি খাওয়ার আগে কমলালেবুর খোসা গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। সরাসরি খাওয়ার জায়গায় স্যালাড, স্যান্ডউইচ, স্মুদি ইত্যাদিতে মিশিয়ে কমলালেবুর খোসা খেতে পারেন। এ ছাড়া কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে তা চায়ে দিয়ে খেতে পারেন। কমলালেবুর খোসার জেলি বানিয়ে খেতে পারেন।