Radhika Apte Diet Tips: কড়া ডায়েট নয়, কোন নিয়মে ৪০-এও নিজেকে লাস্যময়ী রাখেন রাধিকা আপটে?
Radhika Apte: বয়স যাই হোক না কেন, তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এখনও অনায়াসে মানিয়ে যায় ২৫ বছরের যুবতীর চরিত্রে। কী ভাবে নিজের চেহারাকে ধরে রেখেছেন? পেছনের রহস্যটা কী? সেটাও কিন্তু খোলসা করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। কড়া ডায়েট নয়, জানুন রাধিকার রূপের আসল রহস্য।

তাঁর অভিনয়ের গুণে মুগ্ধ গোটা দেশ। ‘যে কোনও ভূমিকায়/ সমানে লড়ে যাই/ আপনি যা চান আমি ঠিক তাই!’ বিখ্যাত গানের এই দুই কলি তার জন্য আক্ষরিক অর্থেই প্রযোজ্য। তিনি হলেন বলি অভিনেত্রী রাধিকা আপটে। লাস্ট স্টোরিজ, অন্ধাধুন, সেক্রেড গেমস, পারচেড বারবার নিজের অভিনয় গুণে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। অনস্ক্রিন হোক বা অফস্ক্রিন, সবসময়ই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত এই অভিনেত্রী। এই ৭ সেপ্টেম্বর নিজের ৪০তম জন্মদিন উদযাপন করলেন রাধিকা। বয়স যাই হোক না কেন, তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এখনও অনায়াসে মানিয়ে যায় ২৫ বছরের যুবতীর চরিত্রে। কী ভাবে নিজের চেহারাকে ধরে রেখেছেন? পেছনের রহস্যটা কী? সেটাও কিন্তু খোলসা করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। কড়া ডায়েট নয়, জানুন রাধিকার রূপের আসল রহস্য।
ডায়েট না মেনে কী করেন রাধিকা?
২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি বলিউড হাঙ্গামা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা তাঁর ডায়েট-সংক্রান্ত নানা গোপন কথা শেয়ার করেছিলেন। সেখানে তিনি জানান সকালবেলার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে শুরু করে তাঁর প্রিয় পারিবারিক রেসিপিগুলোর কথা। একই সঙ্গে তিনি খোলাখুলিভাবে তাঁর উদ্বেগের সমস্যার কথাও স্বীকার করেন।
রাধিকা জানান, তিনি কখনও ডায়েট মেনে চলেননি। তিনি বলেন আমি কখনও কোনো ডায়েট মেনে চলিনি। একটি সিনেমার চরিত্রের জন্য ওজন কমানোর প্রয়োজনেই মাত্র তিন দিন আগে ডায়েট শুরু করেছিলেন।
রাধিকার সকালে কী করেন?
অভিনেত্রীর সকাল শুরু করার একটি নির্দিষ্ট রুটিন আছে। আগে তিনি দিনের শুরুতে এক মগ গাঢ় ব্ল্যাক কফি খেতেন, কিন্তু পরে তা বদলে ফেলেন। এখন তিনি সকালে প্রথমে ধনে ও সামান্য জিরে ভেজানো ডিটক্স ওয়াটার খান। তারপর শসা-সেলারি জুস খান। যাতে থাকে সামান্য পুদিনা এবং লেবুও।
কখনও যদি সকালে কফি খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে তার মধ্যে একটি এলাচ ফেলে দেন। এতে নাকি অম্লত্ব কমে যায়।
ঘুম আর স্ট্রেসের ভারসাম্য প্রয়োজন –
ঘুমের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাধিকা জানান, তাঁর ঘুমের সময় পুরোপুরি নির্ভর করে তাঁর উদ্বেগের মাত্রার ওপর। ভাল দিনে তিনি ৯–১০ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন, কিন্তু চাপ বেশি থাকলে ঘুম নেমে আসে মাত্র ৩–৪ ঘণ্টায়। খানিকটা মজার ছলে বলেন, “আমার যদি উদ্বেগের সমস্যা না থাকত, আমি দিব্যি ১২ ঘণ্টা ঘুমাতে পারতাম।”
বাড়ির খাবার –
রাধিকা যতই নতুন স্বাদে অভ্যস্ত হোন না কেন, তাঁর মায়ের বানানো চকলেট কেক-এর মতো কিছুই বিশেষ নয় তাঁর কাছে। তিনি বলেন, “আমি এটা খাবারের সঙ্গে খাই না, তবে এটা এমন এক পারিবারিক রেসিপি যা আমি কখনও ভুলব না।”
তাঁর মা বানানো ফ্ল্যাক্সসিড চাটনি আর ঘরে বানানো লাড্ডুও রাধিকারের খুব প্রিয়। এগুলো তাঁর খাদ্যাভ্যাসে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।
