Cooking Oil Tips: রান্নায় এই তেল ব্যবহার করলে হতে পারে শরীরে বিষক্রিয়া! দেখে নিন তালিকা
রান্নার তেল বাছাইয়ের সময় সর্বদা সতর্ক থাকবেন। আপনার হেঁশেলে দাম দিয়ে রান্নার তেল রূপে 'বিষ' কিনে আনছেন না তো!

আজকাল মানুষ ফিটনেস সম্পর্কে খুব সচেতন হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে, ইন্টারনেটে যা-ই দেখুক না কেন, তারা সেটাকেই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লোক বলছেন যে পরিশোধিত তেল/রিফাইন অয়েল অস্বাস্থ্যকর, যা সত্য। এই পরিস্থিতিতে, অনেকে রান্নার সময় জলপাই তেল, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদির মতো অন্যান্য তেল ব্যবহার করছেন। কিন্তু আপনি জানেন না যে, বাজারে পাওয়া কিছু তেল রান্নার জন্য ব্যবহার করা ক্ষতিকারক। এই রান্নার তেলগুলি প্রক্রিয়াকরণের সময় তাদের প্রাকৃতিক পুষ্টি হারিয়ে ফেলে এবং শরীরের জন্য ধীরগতির বিষ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
উচ্চ তাপ প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধিত প্রযুক্তি এবং ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতির জন্য বেশ কয়েক রকমের তেল হৃদপিণ্ড, লিভার, হজম এবং রক্তচাপের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক প্রমাণিত হয়। জেনে নিন এমন ৫টি তেলের কথা, যা আপনার রান্নাঘর থেকে আজই সরিয়ে ফেলা উচিত।
১. সূর্যমুখী তেল – অনেকেই সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যকর ভেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটও থাকে। এই তেল উচ্চ তাপে জারিত হয় এবং ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল নির্গত করে, যা শরীরে কোষের ক্ষতি এবং বয়স-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত সেবনে প্রদাহ বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. সয়াবিন তেল – সয়াবিন তেল সাধারণত প্রচুর ভারতীয় রান্নাঘরে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি অত্যন্ত পরিশোধিত। এতে উপস্থিত ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের অত্যধিক ব্যবহার শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. ক্যানোলা তেল – ক্যানোলা তেলকে প্রায়শই স্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এটি হাইড্রোজেনেশনের মধ্য দিয়ে যায়, যা ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করে। ট্রান্স ফ্যাট কোলেস্টেরলের ভারসাম্যহীনতা, হৃদরোগ এবং বিপাকীয় ব্যাধির একটি প্রধান কারণ।
৪. পাম তেল – এই তেলটি প্যাকেজড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ এটি সস্তা, তবে এতে উপস্থিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট যে কারও ধমনীগুলিকে ব্লক করতে পারে। এটি নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
৫. ভুট্টার তেল – ভুট্টার তেল ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ এবং এর প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রায়শই রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এই তেল ওজন বাড়ায়, প্রদাহ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলিকেও বাড়িয়ে তোলে।
