Knowledge Story: মস্তিষ্ক বলে কিছুই নেই এই ৬ প্রাণীর! কী ভাবে সব কাজ করে, জানলে চমকে যাবেন
Knowledge Story: আপনি কি জানেন পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী আছে যাঁদের এই মস্তিষ্ক বলে জিনিসটা নেইই। কারা কারা সেই প্রাণী? এই প্রতিবেদনে রইল তালিকা।

প্রাণী মাত্রই তার মস্তিষ্কের উপর নির্ভরশীল। আমরা কী খাব, কী পরব, কখন ঘুমোবো, হাত নড়বো নাকি পা নাড়বো, সব কিছুর সর্বময় কর্তা মস্তিষ্ক। অথচ আপনি কি জানেন পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী আছে যাঁদের এই মস্তিষ্ক বলে জিনিসটা নেইই। কারা কারা সেই প্রাণী? এই প্রতিবেদনে রইল তালিকা।
ক্যারিবিয়ান বক্স জেলিফিশ – ক্যারিবিয়ান বক্স জেলিফিশ সাধারণত ক্যারিবিয়ান সাগরে দেখা যায়। যদিও এদের কোনও কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক নেই, তবে এদের চোখের আশেপাশে কয়েক হাজার নিউরন থাকে। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই মস্তিষ্কবিহীন প্রাণীরা “অ্যাসোসিয়েটিভ লার্নিং”-এ বেশ পারদর্শী। অর্থাৎ যা চারপাশে ঘটছে তা দেখে দেখে শেখার ক্ষমতা রাখে।
বিডলেট অ্যানিমোন – বিডলেট অ্যানিমোন সাধারণত পাথুরে জলের গর্তে পাওয়া যায়। এই লাল রঙের শুঁড়ওয়ালা সামুদ্রিক প্রাণীর মস্তিষ্ক নেই। ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়ায় এদের আচরণ বদলাতে পারে। তারা কতটা আক্রমণাত্মক হবে তা নির্ভর করে অপর অ্যানিমোনের সঙ্গে তাদের পরিচিতি বা সম্পর্কের ওপর।
ব্রিটল স্টার – ব্রিটল স্টার স্টারফিশ, সাধারণ স্টারফিশ মাছের গোত্রের এক ধরনের প্রাণী। এদেরও কোনও মস্তিষ্ক নেই। এদের শুধু একটি নার্ভ রিং থাকে। পাঁচটি বাহুর প্রতিটিতে থাকে নার্ভ কর্ড। যার কোনও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নেই। প্রতিটি নার্ভ কর্ড স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
সি স্কোয়ার্ট – সি স্কোয়ার্ট হল একধরনের সরল গঠনবিশিষ্ট প্রাণী, যারা সাধারণত পাথরের সঙ্গে লেগে থেকে জীবন কাটায়। এরা একপ্রান্ত দিয়ে জল গ্রহণ করে এবং অপর প্রান্ত দিয়ে তা বের করে ক্ষুদ্র খাদ্যকণা ধরার মাধ্যমে আহার করে।
স্লাইম মোল্ড – স্লাইম মোল্ড ছত্রাক, প্রাণী বা উদ্ভিদ—কোনওটাই নয়। এটি এককোষী, জেলির মতো একধরনের প্রাণী। মস্তিষ্ক না থাকা সত্ত্বেও এরা গোলকধাঁধা সমাধান করতে পারে, খাবারের খোঁজে যাওয়ার পথ মনে রাখতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিতে পারে।
সবুজ সি আরচিন(Green Sea urchin) – সি urchin হল একধরনের সরল সামুদ্রিক প্রাণী। এদের আচরণ বেশ চমকপ্রদ। যেমন – urchin সমুদ্রের তলদেশ থেকে খোলস, পাথর, সামুদ্রিক ঘাস এমনকি প্লাস্টিকের টুকরো জোগাড় করে নিজেদের রক্ষার জন্য ব্যবহার করে থাকে।
