Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিংয়ের প্ল্যান রয়েছে? বাকেট লিস্টে রাখুন চটকপুরকে
Chatakpur: দার্জিলিং থেকে ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির রাস্তা ধরলে ঘন পাইনের বন থেকে শুরু করে সরলবর্গীয় বৃক্ষের বৈচিত্র্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন চটকপুর।
ছুটি পেলেই যাদের দার্জিলিং যাওয়ার অভ্যাস, এবার ঘুরে দেখতে পারেন চটকপুর। দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই অবস্থিত চটকপুর। দার্জিলিং থেকে যে রাস্তা চলে গিয়েছে ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির দিকে, সেখান থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটারের পথ চটকপুর। এই গ্রামে নেই চা-বাগানের সমাহার। বরং রয়েছে পাইনের সারি। এখানের শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য।
দার্জিলিং থেকে ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির রাস্তা ধরলে ঘন পাইনের বন থেকে শুরু করে, ফার্নের সমাহার, সরলবর্গীয় বৃক্ষের বৈচিত্র্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন চটকপুর। আপনি চাইলে ঘুম, সোনাদা ঘুরেও পৌঁছে যেতে পারেন চটকপুর। ৭,৮৮৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চটকপুর পৌঁছানোটা একটু ঝক্কি হলেও এর প্রাকৃতিক পরিবেশের কোনও বিকল্প হয় না।
চটপুরে মাত্র ২৫টি পরিবারের বাস। পাহাড়ের ধাপে ধাপে দেখা মিলবে তাদেরই ঘরবাড়ি। চটকপুরের সবচেয়ে ভাল বিষয় হয়, এই স্থানীয় বাড়িগুলোয় রয়েছে হোমস্টে-এর সুবিধা। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন যে, পর্যটকদের আনাগোনা বেশ ভালই লেগে থাকে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে। এই ঘরবাড়িগুলোর সঙ্গে লাগোয়া জমিতে চাষ হয় রাসায়নিক সারমুক্ত আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলো, গাজর, আদা, ভুট্টা, মাশরুম ও নানা সবজি।
আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের মতো চটকপুর সুসজ্জিত নয়। কিন্তু যদি পাহাড়ের একটু নীচে চলে আসেন তাহলে চটকপুরে চমক পেতে পারেন। পাইন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গা ছমছম অনুভূতির সঙ্গে ঘুরে নিতে পারেন পোখরি। এই পোখরি হল জলাশয়ের মধ্যে একটা বড় পাথর। ওই পাথরকেই পবিত্র বলে মনে করে স্থানীয়রা। তবে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটার সময় সাবধান থাকবেন। চটকপুরের জঙ্গলে ভয় রয়েছে লেপার্ডের। পোখরির জলাশয়ে প্রায়ই জল খেতে আসে বন্যজন্তুরা।
জন্তু-জানোয়ারের দেখা মেলা ভাগ্যের বিষয় হলেও পাখিদের কলতান মুগ্ধ করবে আপনাকে। চটকপুরে বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা মেলে খুব সহজেই। ম্যাগপাই, স্কারলেট মিনিভেট থেকে শুরু করে পিপিট, শ্রাইক, রুফাস বেলিড নিলটাভাদের মতো পাখির আনাগোনা লেগে থাকে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে।
যদি কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখতে চান, তাহলে কাকভোরে ঘুরে আসুন ভিউ পয়েন্ট। টাইগার হিল থেকে তো কাঞ্চনজঙ্ঘা অনেকবার দেখেছেন, এবার একটু অফবিট থেকেই উপভোগ করুন সূর্যোদয়। তবে রাতের চটকপুরে রয়েছে বেশি রোমাঞ্চকর। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গল থেকে ভেসে আসবে বন্যজন্তুদের আওয়াজ। চটকপুরের অন্ধকার দূর করে জোনাকি।