Raksha Bandhan 2022: বন্ধ থাকে ৩৬৪ দিন! শুধুমাত্র রাখী পূর্ণিমার দিনই খোলা হয় এই মন্দিরের দরজা

Banshi Narayan Mandir : সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার দেশ হল ভারত। তবে ধর্মীয় রীতিনীতিতেও এই দেশে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। নিজের মধ্যেই একটি অনন্য ধর্মীয় জগত গড়ে তুলেছে। যেখানে প্রতিটি ধর্মের উপাসনার চর্চা ও পদ্ধতিগুলি সত্য নিষ্ঠা ও চেতনার সঙ্গে সঙ্গে অনুসরণ করে চলেছে।

| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 3:13 PM
অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাট এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, এমন লক্ষ লক্ষ প্রাচীন মন্দির রয়েছে যেগুলির কথা আমরা নানা কাহিনির মাধ্যমে শুনে থাকি। সেই সব মন্দিরের অজানা কাহিনিগুলিও বেশ মজার।

অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাট এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, এমন লক্ষ লক্ষ প্রাচীন মন্দির রয়েছে যেগুলির কথা আমরা নানা কাহিনির মাধ্যমে শুনে থাকি। সেই সব মন্দিরের অজানা কাহিনিগুলিও বেশ মজার।

1 / 9
বৈচিত্রময় দেশে ঐতিহাসিক স্থানগুলির গুরুত্ব ও অবদান অনেকটাই। তবে ধর্মীয়স্থানগুলির ভিন্ন তাত্‍পর্য রয়েছে। উত্তরাখণ্ডেও রয়েছে এমন একটি মন্দির, যার উপস্থিতির কথা অনেকেই জানেন না। এই মন্দিরের দরজা বছরে একবারই খোলে। তাও রাখী পূর্ণিমার দিন। রাখীর বিশেষ অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। মন্দিরটি কোথায় অবস্থিত, জানেন?

বৈচিত্রময় দেশে ঐতিহাসিক স্থানগুলির গুরুত্ব ও অবদান অনেকটাই। তবে ধর্মীয়স্থানগুলির ভিন্ন তাত্‍পর্য রয়েছে। উত্তরাখণ্ডেও রয়েছে এমন একটি মন্দির, যার উপস্থিতির কথা অনেকেই জানেন না। এই মন্দিরের দরজা বছরে একবারই খোলে। তাও রাখী পূর্ণিমার দিন। রাখীর বিশেষ অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। মন্দিরটি কোথায় অবস্থিত, জানেন?

2 / 9
মন্দিরটির নাম বংশী নারায়ণ। সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবশিষ্ট এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত। কথিত আছে, যখনই রাখীর দিন ঘনিয়ে আসে, তখনই মন্দিরের আশেপাশের জায়গাগুলি পরিস্কার হওয়া শুরু হয়। যাতে ভক্তরা ভাল করে ভারতের প্রাচীন মন্দিরটিকে দর্শন করতে পারেন।

মন্দিরটির নাম বংশী নারায়ণ। সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবশিষ্ট এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত। কথিত আছে, যখনই রাখীর দিন ঘনিয়ে আসে, তখনই মন্দিরের আশেপাশের জায়গাগুলি পরিস্কার হওয়া শুরু হয়। যাতে ভক্তরা ভাল করে ভারতের প্রাচীন মন্দিরটিকে দর্শন করতে পারেন।

3 / 9
এই মন্দির সম্পর্কে বলা হয় যে রাখী বন্ধনের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় ও সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের দরজা পরবর্তী ৩৬৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।  কিন্তু মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা অধিষ্ঠিত বিগ্রহকে রাখী বাঁধতে ভিড় করেন। তারপর শুরু হয় ধুমধাম করে পুজো।

এই মন্দির সম্পর্কে বলা হয় যে রাখী বন্ধনের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় ও সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের দরজা পরবর্তী ৩৬৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা অধিষ্ঠিত বিগ্রহকে রাখী বাঁধতে ভিড় করেন। তারপর শুরু হয় ধুমধাম করে পুজো।

4 / 9
মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি কিংবদন্তি। যেখানে বলা হয়েছে, বিষ্ণু যখন স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আবির্ভূত হন, তখন এই স্থানেই প্রথম আশ্রয় নিয়েছিলেন।

মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি কিংবদন্তি। যেখানে বলা হয়েছে, বিষ্ণু যখন স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আবির্ভূত হন, তখন এই স্থানেই প্রথম আশ্রয় নিয়েছিলেন।

5 / 9
স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসার পিছনেও রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনি। মনেকরা হয়, রাজা বালির অহংকার ভাঙতে ভগবান বিষ্ণু বামনের রূপ ধারণ করেছিলেন। বালির অহংকার বিনাশ করে তাঁকে অধিপতিতে পাঠান হয়। তারপর তিনি নারায়ণের কাছে প্রার্থনা করে বলেন যে, তুমি আমার সামনে অবস্থান কর। এরপর বিষ্ণু যজ্ঞের দারোয়ান হোন।

স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসার পিছনেও রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনি। মনেকরা হয়, রাজা বালির অহংকার ভাঙতে ভগবান বিষ্ণু বামনের রূপ ধারণ করেছিলেন। বালির অহংকার বিনাশ করে তাঁকে অধিপতিতে পাঠান হয়। তারপর তিনি নারায়ণের কাছে প্রার্থনা করে বলেন যে, তুমি আমার সামনে অবস্থান কর। এরপর বিষ্ণু যজ্ঞের দারোয়ান হোন।

6 / 9
বহুদিন কেটে গেলেই বিষ্ণুর দেখা না পেয়ে লক্ষ্মীও স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পৌঁছান। সেখানে যজ্ঞের কবজিতে রাখি বেঁধে বিষ্ণুকে ফিরে পান ও তাঁকে মর্ত্য থেকে স্বর্গে নিয়ে যেতে পারেন। সেই থেকে স্থানটির নাম হয়েছে বংশী নারায়ণ। আর সেই নামেই মন্দিরে পুজো হয়ে থাকে।

বহুদিন কেটে গেলেই বিষ্ণুর দেখা না পেয়ে লক্ষ্মীও স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পৌঁছান। সেখানে যজ্ঞের কবজিতে রাখি বেঁধে বিষ্ণুকে ফিরে পান ও তাঁকে মর্ত্য থেকে স্বর্গে নিয়ে যেতে পারেন। সেই থেকে স্থানটির নাম হয়েছে বংশী নারায়ণ। আর সেই নামেই মন্দিরে পুজো হয়ে থাকে।

7 / 9
হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সুপ্রাচীন মন্দিরটি ষষ্ঠ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। আবার অনেকে বলেন যে নারদমুনি এই মন্দিরে ৩৬৪ দিন বিষ্ণুর পুজো করতেন। একটি দিন বাকি রেখে যান, যাতে ভক্তরা পুজার্চনা করে থাকেন। স্থানীয়রা শ্রাবণ পূর্ণিমায় নারায়ণের পুজো করে থাকেন। রক্ষাবন্ধনের দিন নারায়ণের জন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে মাখন নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়।

হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সুপ্রাচীন মন্দিরটি ষষ্ঠ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। আবার অনেকে বলেন যে নারদমুনি এই মন্দিরে ৩৬৪ দিন বিষ্ণুর পুজো করতেন। একটি দিন বাকি রেখে যান, যাতে ভক্তরা পুজার্চনা করে থাকেন। স্থানীয়রা শ্রাবণ পূর্ণিমায় নারায়ণের পুজো করে থাকেন। রক্ষাবন্ধনের দিন নারায়ণের জন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে মাখন নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়।

8 / 9
উরগাম উপত্যকায় এই মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য অনেক পর্যটক ট্রেকিং করে থাকেন। মন্দিরের অবস্থান উরগাম উপত্যকায়, তাই একে বুগয়ালও বলা হয়ে থাকে। এই মন্দিরে ভিতরে শ্রীকৃষ্ণ ও কল্যানকর শিবের মূর্তি রয়েছে। মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১০ফুটের মতন। পুরোহিতরা হলেন রাজপুর, যারা প্রতি বছর রাখীর দিনে বিশেষ পুজো করে থাকেন। মন্দিরের কাছে রয়েছে একটি ভাল্লকের গুহা। যেখানে ভক্তরা নৈবেদ্য দিয়ে থাকেন।

উরগাম উপত্যকায় এই মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য অনেক পর্যটক ট্রেকিং করে থাকেন। মন্দিরের অবস্থান উরগাম উপত্যকায়, তাই একে বুগয়ালও বলা হয়ে থাকে। এই মন্দিরে ভিতরে শ্রীকৃষ্ণ ও কল্যানকর শিবের মূর্তি রয়েছে। মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১০ফুটের মতন। পুরোহিতরা হলেন রাজপুর, যারা প্রতি বছর রাখীর দিনে বিশেষ পুজো করে থাকেন। মন্দিরের কাছে রয়েছে একটি ভাল্লকের গুহা। যেখানে ভক্তরা নৈবেদ্য দিয়ে থাকেন।

9 / 9
Follow Us: