Paradise Island: এবার মরিশাসে শুধু ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাববেন না, ভাবুন প্যারাডাইস দ্বীপে ভিলার মালিক হওয়ার কথা…
মরিশাস বিশ্বজুড়ে টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য তার দরজা খুলে দিয়েছে। টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীরা সার্টিফায়েড কোভিড হোটেলে থাকতে পারেন। অক্টোবর থেকে এই দ্বীপটি পুরোপুরি চালু করা হবে।
স্বপ্ন যেন সত্যি হয়ে গেল। মানে, মরিশাস যেখানে অনেকের স্বপ্নের পর্যায়ে, সেখানে তার চেয়েও আকর্ষণীয় বাস্তব আপনার জন্য থাকছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? এই প্রতিবেদনে আপনি এমনই একটা ঘটনার সম্বন্ধে জানতে চলেছেন, যা স্বপ্নকে বাস্তবের কাছে লঘু করে দিতে পারে।
মানুষের জীবনে কিছু ছোট ছোট লক্ষ্য থাকে। যেগুলো পূরণ করা তাঁদের কাছে স্বপ্নের চেয়ে কম কিছু না। অফিসের বিরতিতে কিংবা বন্ধুদের আড্ডার মাঝেই অনেকেরই মনে হয়েছে, একদিন মরিশাস যেতে হবে। কিন্তু, এখন সেই মরিশাসের চেয়েও ভাল উপায় এসে গেছে। সমুদ্রের মাঝে একটা দ্বীপ। আবার যে সে দ্বীপ নয়। প্যরাডাইস দ্বীপ! এবার ভাবুন, আপনি সেই দ্বীপের একটা ভিলার মালিক। মরিশাসে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্নের চেয়ে এই বাস্তবটা সব দিক দিয়েই ভাল নয় কি? মানে, আপনার মরিশাস ঘোরাও হল, আবার ভিলার মালিকও হয়ে গেলেন।
মরিশাস ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেন পুনুসামি বলেন, ২০০০-এর গোড়ার দিকে এই স্কিম চালু করেছিলেন তাঁরা। দেশটি এই ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্ট স্কিম চালু করার পর থেকেই মরিশাস আন্তর্জাতিক হোমবায়ার্সদের স্বাগত জানিয়েছে। সিএনএন ভ্রমণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নীতিটি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এই দ্বীপে বৈধভাবে সম্পত্তির মালিক হওয়ার অনুমতি দেয়।
এই প্রকল্পটি মাদাগাস্কার উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিনিয়োগ আনতে সাহায্য করেছে। আইনটি সম্প্রতি আপডেট করা হয়েছে। এখন এই আইনে যে ধরনের সম্পত্তি বিক্রি এবং বিকশিত হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কোথা ভেবেই আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল রিসর্ট ব্র্যান্ডগুলো এই দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের ভিলা নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ওয়ান বেডরুমের ভিলা থেকে শুরু করে বিস্তৃত এস্টেট, এই সংস্থাগুলো আপনাকে এই প্যারাডাইস দ্বীপে থাকার জন্য অনেক অপশন দেবে।
মরিশাস বিশ্বজুড়ে টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য তার দরজা খুলে দিয়েছে। টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীরা সার্টিফায়েড কোভিড হোটেলে থাকতে পারেন। অক্টোবর থেকে এই দ্বীপটি পুরোপুরি চালু করা হবে। ভ্রমণকারীদের শুধুমাত্র ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে করা নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট বা ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে যদিও এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, দ্বীপে থাকা কালীন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্যাকেজড মিনারেল ওয়াটারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি এই রাজ্যে!
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ না থাকলে এবার পাকিস্তানে প্রবেশ করা যাবে না! তবে কিছু ক্ষেত্রে থাকছে ছাড়…
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম কার্বন নিউট্রাল ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে সম্মান পেল বিখ্যাত এই জায়গা!