Machu Picchu: বিশ্বের প্রথম কার্বন নিউট্রাল ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে সম্মান পেল বিখ্যাত এই জায়গা!
গ্রিন ইনিশিয়েটেভের এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে মাচুপিচুকে বিশ্বের দরবারে এক উদাহরণ হিসেবে প্রদর্শন করা হল। ২০৩০ সালে ৪৫ শতাংশ ও ২০৫০ সালে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকে হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে।
এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক ডেস্টিনেশন কার্বন নিউট্রাল সার্টিফিকেটের সম্মান পেল। গ্রিন ইনিশিয়েটিভ থেকে মাচু পিচুর বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যকে এই সম্মান প্রদান করা হয়। এটি একটি এমনই প্রতিষ্ঠান যা সবুজ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থাকে উত্সাহিত করে। গ্রিন ইনিশিয়েটেভের এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে মাচুপিচুকে বিশ্বের দরবারে এক উদাহরণ হিসেবে প্রদর্শন করা হল।
সার্টিফিকেটের নিয়ম অনুসারে, এটি ইনকা দূর্গের কার্ব ডাই অক্সাইড নির্গমনকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করার চেষ্টা করেছে। যার ফলে ২০৩০ সালে ৪৫ শতাংশ ও ২০৫০ সালে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকে হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেশন অর্জনের জন্য এই জনপ্রিয় হটস্পটটি বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। অন্যান্য সব কর্মের পাশাপাশি পেরুর মাচু পিচুতে বিদ্যমান একমাত্র জৈব বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। আবর্জনাকে প্রাকৃতিক কয়লা রূপান্তরিত করার পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ তেল ও বায়োডিজেল, গ্লিসারিন তৈরির তেলে পরিণত করার উদ্ভিদ রোপন করা, ওই এলাকায় কোনও বাড়ি বা রেস্তোরাঁ বাতিল করার মতো কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সহায়তার জন্য এক মিলিয়ন গাছ রোপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ন্যাশনাল সার্ভিস অফ প্রোটেক্টেড ন্যাচারাল এরিয়া (SERNANP)। এর প্রভাবে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পাবে বলে আশা। এছাড়া বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইজের পরিমাণ কমাতে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। মাচু পিচুর এই উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গুরুক্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: Assam : কোভিড নিয়ম মেনেই পর্যটকদের জন্য খুলে গেল অসমের তিনটি বিখ্যাত জাতীয় উদ্যান!