Himachal Pradesh: এবার হিমাচল প্রদেশ আপনার ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের যাবতীয় দায়ভার তুলে নিতে প্রস্তুত

কোভিড সঙ্কটের মাঝেই পর্যটকদের এখন উৎসাহিত করা হচ্ছে কীভাবে তাঁরা এই সমস্ত হোটেলে এলে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। পর্যটকদের বিশ্বাস করানো হচ্ছে, যে তাঁরা যদি ঘুরতে আসেন তাহলে যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থাই উপভোগ করবেন।

Himachal Pradesh: এবার হিমাচল প্রদেশ আপনার ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের যাবতীয় দায়ভার তুলে নিতে প্রস্তুত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 8:39 AM

কোভিড প্যান্ডেমিকের কারণে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পুরো পৃথিবী। ট্যুরিজম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল বিগত দেড় বছরে। পৃথিবী আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। আর তাই হিমাচল প্রদেশের পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন (এইচপিটিডিসি) এখন সবচেয়ে মনোরম অবস্থানে অবস্থিত হোটেলগুলিতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এটা উল্লেখযোগ্য যে, এইচপিটিডিসি শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েই থেমে থাকে নি। তারা প্যালেস হোটেল, চাইল অ্যান্ড ফাগু, বড়োগ এবং নরকান্দার হোটেলগুলির মতো বিশিষ্ট জায়গাগুলিকে ইতিমধ্যেই সাজিয়ে তুলেছে। এই হোটেলগুলি ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য প্রায় প্রস্তুত।

এই বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন পর্যটন পরিচালক এবং এইচপিটিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিত কাশ্যপ। তিনি বলেছেন যে তাঁরা সেই বিশিষ্ট হোটেলগুলি বেছে নিয়েছেন যেগুলি হিমাচল প্রদেশের মনোরম পরিবেশের উপস্থাপন করতে পারে। এছাড়াও, এই হোটেলগুলি বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল এখানে যে কোনও ধরণের দাম বা প্যাক বেছে নেওয়াই ফ্লেক্সিবল। তিনি আরও বলেন যে এই স্পটগুলি জনসাধারণের ভিড়ে ঠাসা শহর থেকে অনেকটাই দূরে। এই হোটেলগুলির পরিবেশ আপনাকে বিয়ের আমেজ উপভোগ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। আর যেহেতু মানুষের সংখ্যা সীমিত থাকবে, তাই কোভিড পরিস্থিতিতে এই আয়োজন একদম অনুকূল এবং নিরাপদ। এখানে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার প্রোটোকলও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কাশ্যপ।

কাশ্যপ যোগ করেছেন যে, তাঁরা একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ প্রদান করবেন যেখানে পন্ডিত, সাজসজ্জা, কেটারিং এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সবকিছুই দেখাশোনা করা হবে। তাঁদের উদ্দেশ্য হল, মানুষ এখানে এসে যেন বিয়ের অনুষ্ঠানটাই উপভোগ করতে পারেন, তাঁদের যেন অন্য কোনও দিকে বিশেষ নজর না দিতে হয়।

গ্রীষ্মকালে হিমাচলে পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে থাকলেও হোটেলে এখন মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রুম ভর্তি থাকছে।

একইভাবে, এইচপিটিডিসি একাই ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৪ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির সাক্ষী থেকেছে।

এর ওপরে আবার কোভিড-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ যেমন টিকা সার্টিফিকেট, একটি বাধ্যতামূলক নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট এসব নানান ব্যবস্থা পর্যটকদের অবাধ প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলি সীমাবদ্ধ থাকায় এখানে কার্যত কোনও বিদেশী পর্যটকও নেই।

যদিও কোভিড সঙ্কটের মাঝেই পর্যটকদের এখন উৎসাহিত করা হচ্ছে কীভাবে তাঁরা এই সমস্ত হোটেলে এলে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। পর্যটকদের বিশ্বাস করানো হচ্ছে, যে তাঁরা যদি ঘুরতে আসেন তাহলে যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থাই উপভোগ করবেন। তবে, এসবের মাঝেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আপনি ফাঁকা জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবলেও, যাতায়াতকালে অনেক মানুষের সংযোগে আপনাকে আসতে হবে। ঠিক এই কারণেই অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে চেপে রেখেছেন। তবে, বিধি নিষেধ মেনে অনেকেই আস্তে আস্তে বেরিয়ে পড়ছেন।

আরও পড়ুন: রাজস্থানের ভানগড়কে কেন ভুতুড়ে দুর্গ বলা হয় জানেন?