Sleep Tourism: ঘুম-ঘুম হোটেল রুম; দেশে ‘স্লিপ ট্যুরিজম’-এর চাহিদা কেন ঊর্ধ্বগগনে?
Travel: 'ছুটি কাটিয়ে এলাম'—এই কথাটা আমরা প্রায়ই শুনি। কিন্তু 'ঘুরে আসা' ও 'ছুটি কাটিয়ে আসা'র মধ্যে এখানে সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে।
করোনাকালে মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে। ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল পর্যটন শিল্পে। তাই লকডাউন পরবর্তীকালে মানুষের মধ্যে ‘রিভেঞ্জ ট্যাভেল’-এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ কোভিড বিধি ছাড়াই মানুষ পছন্দের জায়গায় ভ্রমণের জন্য যেতে পারছেন। ২০২২-এ সবচেয়ে বেশি সর্বোচ্চ পর্যটক গিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে। ৭৫ বছরে এই প্রথম ১ কোটি ৬২ লক্ষ পর্যটক কাশ্মীরকে বেছে নিয়েছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। এ বছর কিছুটা একই রূপ দেখা গিয়েছে সিকিমেও। বহু বাঙালি পর্যটক পুজোর ছুটি কাটাতে গিয়েছেন সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। এটাকেই বিশেষজ্ঞরা ‘রিভেঞ্জ ট্যাভেল’ বলছেন। কিন্তু ‘স্লিপ ট্রাভেল’ সম্পর্কে কি জানেন?
‘ছুটি কাটিয়ে এলাম’—এই কথাটা আমরা প্রায়ই শুনি। কিন্তু ‘ঘুরে আসা’ ও ‘ছুটি কাটিয়ে আসা’র মধ্যে এখানে সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে। ঘুরে আসার অর্থ সেই জায়গার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা এবং সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা। সেক্ষেত্রে আপনি নিজেকে ‘ট্রাভেলর’ হিসেবেও দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু লকডাউন পরবর্তীকালে এখন মানুষ বেশিটাই ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। পাহাড়ে ঘেরা হোমস্টে। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। গরম কফি আর বই নিয়ে বসে রয়েছেন। আবার কারও কারও দিন কাটতে অজানা কোনও পাহাড়ের কোলে থাকা হোমস্টের ঘরে শুধু ঘুমিয়ে। এটাকেই ‘স্লিপ ট্যুরিজম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যান হাওয়া-পানি বদলের জন্য। ‘স্লিপ ট্যুরিজম’ এই ধরনের ভ্রমণেরই একটা অংশ। ‘স্লিপ ট্যুরিজম’-এ বেশিরভাগ সময় কাটে ল্যাদ খেয়ে। ‘স্লিপ ট্যুরিজম’-এর জন্য কোনও অফবিট লোকেশন বেছে নেওয়া হয়। যেখানে শহুরে মানুষ বা পর্যটকদের ভিড় একদম নেই বললেই চলে। সেখানে হোমস্টে থাকলে সবচেয়ে ভাল। এতে থাকা-খাওয়ার সুবিধা হয়। ওই অফবিটে গিয়ে তিনদিনের জন্য শুধুই বিশ্রাম নেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই।
এখন মানুষের মধ্যে ঘুম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কোভিড ঘুমের চক্রের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অনিদ্রা, ঘুম না হওয়া ইত্যাদি। পাশাপাশি কাজের চাপ বাড়িয়ে তুলছে মানসিক চাপ। এ সব কিছুই প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য। এখানেই কার্যকর ভূমিকা পালন করে ‘স্লিপ ট্যুরিজম’। স্লিপ থেরাপি হিসেবে পর্যটকদের মধ্যে বাড়ছে ‘স্লিপ ট্যুরিজম’।
যদিও করোনাকালের আগেই ‘স্লিপ ট্রাভেল’ জনপ্রিয়তা দেখা গিয়েছিল ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে। এখন বিশ্বজুড়ে বেড়ে গিয়েছে ‘স্লিপ ট্যুরিজম’-এর চাহিদা। ভারতেও এর চাহিদা দেখা যায়। ভারতের বিভিন্ন রিট্রেটগুলো উন্নত করা হয়েছে ‘স্লিপ ট্যুরিজম’-এর জন্য। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য এই রিট্রেটগুলোতে মিউজিক থেরাপি, যোগাসন, স্পা, আয়ুর্বেদিক থেরাপি ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে।