Latest Travel News: টিকাকরণের নির্দিষ্ট মেয়াদ পেরিয়ে গেলেই আর আপনি এই দেশগুলি ঘুরতে যেতে পারবেন না!
টিকা নেওয়াও এবার যথেষ্ট নয়। টিকার মেয়াদ ফুরোলে, ভ্রমণের পরিকল্পনাও বাতিল করে দিতে হবে। হ্যাঁ, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গা। কিছু দেশ ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে কয়েকটা জায়গায় ইতিমধ্যেই ভ্রমণের সময়সীমা শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করার এই প্রকল্প নেওয়া শুরুও হয়ে […]
টিকা নেওয়াও এবার যথেষ্ট নয়। টিকার মেয়াদ ফুরোলে, ভ্রমণের পরিকল্পনাও বাতিল করে দিতে হবে। হ্যাঁ, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গা। কিছু দেশ ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে কয়েকটা জায়গায় ইতিমধ্যেই ভ্রমণের সময়সীমা শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করার এই প্রকল্প নেওয়া শুরুও হয়ে গেছে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরিবহনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে, ক্রোয়েশিয়া এবং অস্ট্রিয়া একটা নিয়ম চালু করেছে। আপনি যে ভ্যাকসিনই নিয়ে থাকুন না কেন, ২৭০ দিন পেরিয়ে গেলে আপনার ভ্যাকসিন অর্থহীন হয়ে যাবে। অর্থাৎ ঘুরতে যাওয়ার প্রায় ন’মাসের মধ্যে আপনাকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। সাম্প্রতিককালের এই ভ্রমণ আপডেটে এটাও বোঝা যাচ্ছে, যেসব ট্যুরিস্ট ভ্যাকসিনেশনের প্রমাণ নিয়ে এই দেশগুলোতে যেতে আগ্রহী, তাঁদের এখন প্রমাণ করতে হবে যে তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ ২৭০ দিনের কম সময়ের মধ্যে নেওয়া হয়েছে।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে, যাঁরা ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণ করতে চান তাঁরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআরে নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে পারে। নয়তো, ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারে। এছাড়াও, তাঁরা ক্রোয়েশিয়া প্রবেশের আগে ২৭০ দিনের মধ্যে টিকাকরণের প্রমাণ দেখাতে পারেন। এগুলির মধ্যে কোনও একটা করলে তাঁরা কোয়ারেন্টাইন এড়িয়ে যেতে পারবেন। এছাড়াও, ট্যুরিস্টরা প্রমাণ দেখাতে পারেন যে তাঁরা আগে কোভিডে সংক্রামিত হয়েছিলেন কিন্তু এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মনে রাখবেন যে যাঁরা ক্রোয়েশিয়া সফরে যেতে ইচ্ছুক তাঁদের আগে থেকে থাকার জায়গা ঠিক করেই যেতে হবে।
অস্ট্রিয়া ক্ষেত্রেও নিয়মগুলো কম বেশি একই রকমের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ট্যুরিস্টদের স্বাগত জানানোর জন্য টিকাকরণের প্রমাণ অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। এছাড়াও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা নেগেটিভ অ্যান্টিজেন টেস্ট রেজাল্টও গ্রহণ করা হচ্ছে। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই ধরনের পরীক্ষা না করলেও হবে।
ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষের তারিখ নির্ধারণ করার এই সিদ্ধান্তটি একটা অদ্ভুত সময়ে এসেছে। এখন পৃথিবী আলোচনা করছে কখন আর কীভাবে ভ্যাকসিনের বুস্টার শট নেওয়া যেতে পারে। রিপোর্ট অনুসারে, ডেল্টা বিকল্পের আসার সঙ্গে, ভ্যাকসিনের সামগ্রিক কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে ৩৯ শতাংশ। তবে হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ কমাতে এর কার্যকারিতা এখনও ৭৫ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে, ভ্রমণপিপাসু মানুষের ক্ষেত্রে কোথাও ঘুরতে যাওয়া এখন শুধুমাত্র খরচের পরিসংখ্যানের ওপরই নির্ভর করে নেই। অনেকরকমের কথা মাথায় রেখে তাঁদের নিজেদের গন্তব্যস্থল, থাকার জায়গা আর কেমন ভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা যায় সেসব ঠিক করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি তুঙ্গে! রাজ্যে পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধিতে ঢেলে সাজছে এই রাজ্য