Chandan: কেবল ত্বকের যত্ন নয়, মানসিক শান্তি এনে দেয় চন্দন! জানুন কীভাবে?
Beauty Tips: যদি টানা ৩০ দিন মুখ ও হাতে চন্দন মাখা যায়, তবে তার প্রভাব শরীর ও মনের উপর ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করে। কী কী প্রভাব পড়ে জেনে নিন।

চন্দন প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় আয়ুর্বেদ, সৌন্দর্যচর্চা ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তার সুবাস যেমন মনকে শান্ত করে, তেমনি ত্বকের জন্যও এটি এক প্রাকৃতিক ঔষধের মতো কাজ করে। যদি টানা ৩০ দিন মুখ ও হাতে চন্দন মাখা যায়, তবে তার প্রভাব শরীর ও মনের উপর ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করে। কী কী প্রভাব পড়ে জেনে নিন।
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
চন্দনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে নতুন কোষের বৃদ্ধি ঘটায়। ৩০ দিন ধরে নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখ ও হাতের ত্বক স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় হয়ে ওঠে। এটি ত্বকের কালচে ভাব, রোদে পোড়া দাগ এবং নিস্তেজতা দূর করতে সহায়তা করে।
২. ব্রণের দাগ হ্রাস
চন্দনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ, পিম্পল বা একনের বিরুদ্ধে কাজ করে। ৩০ দিন ব্যবহার করলে ব্রণের প্রদাহ ও দাগ অনেকটা কমে যায়। নিয়মিত ব্যবহারে নতুন ব্রণ ওঠাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ
যাদের ত্বক তেলতেলে, তারা চন্দন মাখলে এর সেবাম নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাব পান। এটি অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ত্বককে ম্যাট রাখে, ফলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৪. রোদে পোড়া দাগ ও ট্যান দূর
গরমকালে সূর্যের তাপে হাত-মুখে ট্যান ও দাগ হয়। ৩০ দিন ধরে চন্দন লাগালে ট্যান অনেকটা হালকা হয়ে আসে এবং ত্বক তার স্বাভাবিক রঙ ফিরে পায়। এছাড়া এটি সূর্যের তাপজনিত জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
৫. অ্যান্টি-এজিং প্রভাব
চন্দনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। টানা ব্যবহার করলে বয়সজনিত ছাপ অনেকটা দেরিতে আসে। ফলে ত্বক থাকে টানটান ও সতেজ।
৬. ঘাম ও দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণ
হাতে চন্দন মাখলে এর প্রাকৃতিক ঠান্ডা ও সুগন্ধি প্রভাব ঘাম ও দুর্গন্ধ কমায়। ৩০ দিনের মধ্যে এ অভ্যাস করলে হাত-মুখ সবসময় সতেজ অনুভূত হয়।
৭. মানসিক প্রশান্তি
চন্দনের সুবাস স্নায়ু শান্ত করে, মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে। তাই প্রতিদিন এর ব্যবহার ধীরে ধীরে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়, ঘুম ভালো হয়।
চন্দনের গুঁড়ো বা কাঠ ঘষা চন্দন অল্প গোলাপজল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও হাতে লাগান। ১৫–২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টানা ৩০ দিন প্রতিদিন সকালে বা রাতে একবার ব্যবহার করুন।
