Kojagari Lakshmi Puja 2025: রাত্রিতে কেন হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, আসল কারণ জানেন?
দুর্গোৎসবের আনন্দ শেষ হতে না হতেই বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয় নতুন প্রস্তুতি। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ঘরে ঘরে থালা সাজে নানারকম ফল, ফুল, মিষ্টিতে। সঙ্গে জ্বলে ঘি এর প্রদীপ।

দুর্গোৎসবের আনন্দ শেষ হতে না হতেই বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয় নতুন প্রস্তুতি। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ঘরে ঘরে থালা সাজে নানারকম ফল, ফুল, মিষ্টিতে। সঙ্গে জ্বলে ঘি এর প্রদীপ। লক্ষ্মী দেবীর আরাধনায় একত্রিত হন সকলেই। শুধু গৃহলক্ষ্মী নন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষেই অংশ নেন এই উৎসবে। এই লক্ষ্মীপুজোতে (Lakshmi Puja) কেন কোজাগরী বলা হয়, নেপথ্যে কোন কারণ?
“কে জেগে আছো?”—এই প্রশ্ন থেকেই নামের সূত্র
‘কোজাগরী’ শব্দের মূল ‘কো জাগরতি’—অর্থাৎ ‘কে জেগে আছো?’। জনশ্রুতি বলে, আশ্বিনী পূর্ণিমার রাতে মা লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন। তিনি প্রতিটি ঘরের দ্বারে পৌঁছে খোঁজ নেন, ভক্তেরা তাঁর আরাধনায় কতটা নিমগ্ন।
রাতভর আলো জ্বলে আর পুজো চলে
প্রচলিত বিশ্বাস এই যে, বাড়ির দরজা খোলা, প্রদীপের আলোয় ভরা, আর ভক্তরা জেগে পুজো করছে— এমন বাড়ি পেলেই সেখানে প্রবেশ করেন দেবী লক্ষ্মী। ধনসম্পদ ও সৌভাগ্যের বর দান করেন তিনি। আর যে ঘরে অন্ধকার, সেখানে প্রবেশ না করেই ফিরে যান। তাই কোজাগরীর রাতে বাংলার ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলে, ভক্তরা রাত জেগে রাখেন ভক্তির আলো।
ধনসম্পদের দেবীর পুজো
লক্ষ্মী হিন্দুধর্ম মতে ধনসম্পদ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই এই পুজোতে কেবল ভক্তিই নয়, ভবিষ্যৎ সংসারের কল্যাণের প্রত্যাশাও মিশে থাকে। ঘরে ঘরে ফল-মিষ্টি, ধূপ-ধুনো-প্রদীপ, অঞ্জলি আর মন্ত্রপাঠে ভরে ওঠে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি যেন বিশ্বাস ও আশার প্রতীকও বটে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য – এই প্রতিবেদনের বক্তব্য হিন্দু শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর।
