Hair Problems: অল্প বয়সেই কেন বাড়ছে পাকা চুলের সমস্যা? কীভাবে এই সমস্যা থেকে পাবেন মুক্তি?
Hair Problems: অনেকেই ৩০ বছর বয়সের আগেই পাকা চুলের সমস্যায় ভুগছেন। ক্রমেই কমবয়সীদের মধ্যেও সাধারণ হয়ে উঠছে এই সমস্যা। কেন এমনটা হচ্ছে? কীভাবে মিলবে মুক্তি এই সমস্যা থেকে?

অনেকেই ৩০ বছর বয়সের আগেই পাকা চুলের সমস্যায় ভুগছেন। ক্রমেই কমবয়সীদের মধ্যেও সাধারণ হয়ে উঠছে এই সমস্যা। কেন এমনটা হচ্ছে? কীভাবে মিলবে মুক্তি এই সমস্যা থেকে?
১. জিনগত প্রভাব: পরিবারে যদি কারও কম বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকে, তাহলে উত্তরসূরিদের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখা যেতে পারে। একে বলা হয় ‘Genetic Premature Graying’।
২. অতিরিক্ত স্ট্রেস: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা টেনশন সরাসরি শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। কর্টিসল হরমোন বৃদ্ধির কারণে মেলানিন উৎপাদন কমে গিয়ে চুল ধূসর হয়ে পড়ে।
৩. খাদ্যাভ্যাসের ভুল: ভিটামিন B12, আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি থাকলে চুল পাকার সম্ভাবনা বাড়ে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবারও ক্ষতিকর।
৪. হরমোন ও থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির ভারসাম্যহীনতা কিংবা অন্যান্য হরমোনজনিত রোগ চুলের রঙে পরিবর্তন আনতে পারে।
৫. ধূমপান ও দূষণ: ধূমপান রক্তে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয় এবং সেলুলারের ক্ষতি করে। এর ফলে চুল দ্রুত পাকে। তেমনি দূষণের প্রভাবেও চুলের মেলানিন ক্ষয় হয়।
কী করলে মিলবে সমাধান?
১. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ: খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলা, গাজর, দুধ, দই, পালং শাক, বাদাম, ডিম ইত্যাদি। এগুলোতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল চুলে মেলানিন তৈরিতে সাহায্য করে।
২. আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার: ভৃঙ্গরাজ তেল, আমলা তেল বা নারকেল তেলে মেথি ফোড়ন দিয়ে ব্যবহার করলে উপকার মেলে। নিয়মিত ম্যাসাজে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও পাকা চুলের প্রবণতা কমে।
৩. স্ট্রেস কমানো: ধ্যান, যোগব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
৪. ঘরোয়া প্যাক: আদা ও মধু মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগানো, বা আমলা ও হেনা দিয়ে চুলে প্যাক ব্যবহার করলে চুলের রঙ ধরে রাখা যায়।
