হিন্দুধর্মে পিতৃপক্ষের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মনে করা হয় একজনের পূর্বপুরুষদের বলিদান এবং আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ পিতৃদেব রেগে গেলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
1 / 7
এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে পিতৃদোষ থাকে, তাহলে তার সতর্ক হওয়া উচিত। পিতৃদোষের কারণে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। এর জন্য পিতৃ দোষের উপসর্গ এবং এড়ানোর ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার সচেতন হওয়া জরুরি।
2 / 7
যদি কোনও বাড়িতে পিতৃ দোষ থাকে, তাহলে সেই বাড়িতে স্বল্প আয়ের পরেও খরচ অনেক বেশি হবে এবং সর্বদা অর্থের অভাব থাকবে।যে বাড়িতে পিতৃ দোষ আরোপ করা হয়, সেই বাড়ির লোকের চিন্তা কখনও মিলিত হয় না এবং কোনও একটি বিষয়ে বা অন্য কোনও বিষয়ে লড়াই করার কোনও কারণ নেই।
3 / 7
পিতৃ দোষের কারণে সন্তানের বিয়েতে নানা বাধা আসে এবং কাজ বারবার বন্ধ হয়ে যায়। পিতৃদোষের কারণে বাড়ির সদস্যদের পূজা করতে ভালো লাগে না এবং ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নও দেখা দেয়।
4 / 7
পিতৃ দোষের কারণে একজন মানুষকে অহেতুক মানসিক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় এবং লাখো চেষ্টার পরও মানসিক শান্তি পাওয়া যায় না। যদি একটি বাড়িতে পরিবার বৃদ্ধি করতে সক্ষম না হয়, তবে এটিও পিতৃ দোষের লক্ষণ।
5 / 7
যদি আপনিও পিতৃদোষ দ্বারা বিরক্ত হন, তাহলে আপনার পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে প্রতিদিন ২১ বার 'ওম পিত্রায় নমঃ' জপ করুন। এছাড়াও প্রতি একাদশী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, রবিবার ও বৃহস্পতিবার পিতৃপুরুষকে জল নিবেদন করুন।
6 / 7
পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে পিতৃপক্ষে তামার পাত্রে কালো তিল, যব এবং লাল ফুল মিশিয়ে দক্ষিণ দিকে মুখ করে পিতৃপুরুষদের স্মরণ করে জল নিবেদন করুন। আপনি যদি পিত্র দোষ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে প্রতি অমাবস্যার দিনে আপনাকে অবশ্যই ত্রিপন্ডি শ্রাধ করতে হবে। আপনি অবশ্যই এটি থেকে উপকৃত হবেন।
