ঘড়ি আর সময় দুটোই সম্পৃত্ত। মানুষের জীবনে ঘড়ির গুরুত্ব অনেক। ঘড়ি শুধু সময়ই বলে না, ভালো-মন্দ সময়েও অবদান রাখে। এমনকি বাস্তুশাস্ত্রেও ঘড়িকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ঘরে ঘড়িটি সঠিক দিকে না বসানো হয় বা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে, তাহলে একজনকে জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেই সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও ফল না পাওয়ায় প্রতিটি কাজেই বাধা বিপত্তি বাড়তেই থাকে।
বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম অনুসারে যখন বাড়ির দেওয়ালে ঘড়ি লাগান, তাহলে ইতিবাচক শক্তি সৃষ্টি হয়। আটকে থাকা অনেক কাজগুলিও সম্পূর্ণ হয় তাতে।
ঘড়ি সংক্রান্ত সঠিক বাস্তু নিয়ম না জানলে জীবন থেকে কখনও খারাপ সময় অতিবাহিত হবে না। জেনে নিন বাস্তু নিয়মগুলি...
বাস্তু মতে, ভাঙা বা বন্ধ ঘড়ি কখনওই ঘরে রাখবেন না। দেওয়ালে এমন ঘড়ি রাখবেন না, যার কাচ ভেঙে গিয়েছে। ঘরে ভাঙা বা বন্ধ ঘড়ি রাখলে পরিবারের সদস্যদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বাস্তু অনুসারে, বন্ধ ঘড়ির মতো পরিবারের সদস্যদের অগ্রগতিও থেমে যায়, তাই ঘড়ির ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে তা অবিলম্বে বদলে দিন।
প্রায়শই বাড়ির যে কোনও দেওয়ালে ঘড়িটি ঝুলিয়ে রাখে, যদিও এটি করা একেবারেই ঠিক নয়। এমন কিছু স্থান ও দিক রয়েছে যেখানে ঘড়ি পরলে শুভ ফল পাওয়া যায়। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর ও পূর্ব দিকগুলিকে বৃদ্ধির দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। ঘরের এই দিকগুলির দেওয়ালে একটি ঘড়ি রাখুন।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে দক্ষিণ দেওয়ালে ঘড়ি রাখা উচিত নয়। নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই অবস্থায় ঘড়ির কাঁটা এদিকে করে রাখলে সময় দেখতে মনোযোগ বারবার দক্ষিণ দিকে চলে যাবে। তা শুভ বলে মনে করা হয় না।
অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, ঘড়ির বা অ্যালার্ম ঘড়ির শব্দ কানে আরামদায়কের মতো হয় না। বাড়িতে সুখ, শান্তি ও ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখতে, সর্বদা একটি সুরেলা ও নরম সুরের শব্দ-সহ একটি ঘড়ি রাখুন।।