বর্ষা মানেই রোগভোগের ছড়াছড়ি। ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বরের রোগী। কাফ সিরাপ, প্যারাসিটামল এবং অ্যান্টিবায়োটিক এই তিনের ওপরেই যেন চলছে জীবন। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এসব ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই ওষুধ খাওয়া কমিয়ে, বরং ভরসা রাখুন ভেষজে।
রান্নাঘরে থাকা একটি জিনিসেই হবে মুশকিল আসান। কী ভাবে জানেন? বর্ষাকালে শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সবচেয়ে ভাল উপায় হতে পারে রসুন।
রান্নার স্বাদ বাড়াতেও যেমন রসুন উপকারী, তেমনই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতেও কিন্তু এই রসুনের জুড়ি মেলা ভার। জানেন কী কী উপকার হয়?
ইমিউনিটি বাড়াতে কিন্তু রসুন খুবই উপকারী। এতে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশির মতো সমস্যা থেকেও দ্রুত সেরে ওঠা যায়। তাই বর্ষায় ঠান্ডা লাগলে ভরসা রাখতে পারেন রসুনের উপর।
প্রতি বছর বেড়ে চলেছে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু রসুন কিন্তু শরীরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে কার্যকরী। রসুনে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়।
আপনি কি খুব বাতের ব্যথায় ভোগেন? তা হলে আজ থেকেই রসুন খাওয়া শুরু করুন। এমনকী তেল এবং রসুন একসঙ্গে মিশিয়ে গরম করে নিন। তারপর সেই রসুন তেল লাগান ব্যথা জায়গায়। তাতেই কিছুদিনের মধ্যে ব্যথাটা অনেকটাই কমে যাবে।
কী ভাবে রসুন খেলে উপকার পাবেন জানেন? সর্দি, কাশি থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান। এই ভাবে খেতে না চাইলে এই ভেষজ জল দিয়েও গিলে খেতে পারেন। বা খেতে পারেন রসুনের সাপ্লিমেন্ট। তাতেই উপকার মিলবে।
গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে যাঁদের বারবার ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন তাঁরা নিয়মিত রসুন খেয়ে উপকার পেয়েছেন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। এছাড়াও হার্টের হাল ফেরাতে, বিভিন্ন ক্রনিক রোগ দূর করতেও সাহায্য করে রসুন।