ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করল ভারত। বুধবার, ওড়িশার এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটিক সফল পরীক্ষাটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ছবি: টুইটার
২০০৮ সালে, ৫০ হাজার কেজি ওজন ও ১৭.৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি এর আগে অগ্নি ৩ নামে পরিচিত ছিল। ২০১০ সালে প্রযুক্তিগত কিছু উন্নতি ঘটিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নয়া নামকরণ করা হয়েছিল। ছবি: টুইটার
২০১২ সালে ১৯ এপ্রিল অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল। ভূমি থেকে ৬০০ মিটার উচ্চতা বজায় রেখে ৫ হাজার কিলো মিটারে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছিল অগ্নি ৫। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বারের জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে শেষবারের জন্য এই ঘাতক ক্ষেপণাস্ত্র শেষবার পরীক্ষা করা হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। ছবি: টুইটার
৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৮০০ কিলো মিটারের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করতে সক্ষম। সফলভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের সঙ্গে এক তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারত। অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটির বহন ক্ষমতা ১ হাজার ৫০০ কিলোগ্রাম এবং এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ছবি: টুইটার
জানা গিয়েছে, নিজের গতির শীর্ষে পৌঁছানোর পরে অগ্নি ৫ কে মাধ্যাকর্ষন শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই গোটা প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার চালিত। এই বিশেষ প্রযুক্তিতেই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। অগ্নি ৫ মাঝারি থেকে দূরপাল্লার অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের পঞ্চম এবং সবচেয়ে উন্নত রূপ। ছবি: টুইটার